রোববার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধনের সময় পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানান হানিফ।
সোমবার রাতে ফরিদপুরের মধুখালীতে বেনাপোলগামী সোহাগ পরিবহনের একটি নৈশকোচে ডাকাতির পর যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসটির চালক ও তার এক সহকারীকে আটক করে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
তবে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন, ডাকাতির পর চালক বাস নিয়ে থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে কারাগারে পাঠায়।
আটকদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও মধুখালীর ওসিকে প্রত্যাহারের দাবিতে খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও ফরিদপুর থেকে ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ১৮টি রুটে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক আসে।
দক্ষিণের পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সোমবার থেকে রাজশাহী বিভাগের সব জেলায়ও ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
এক পর্যায়ে সারাদেশে সারাদেশে ধর্মঘট ছড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়।
পরিবহন শ্রমিকনেতাদের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, “একটা বাসে বাস ডাকাতি হচ্ছে, সেই বাসের ডাকাতির সঙ্গে যদি চালক বা হেলপার কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না কেন?
“বাসের যারা যাত্রী ছিল তারা প্রত্যেকেই অভিযোগ করেছেন, ডাকাতির সঙ্গে চালকের সম্পৃক্ততা ছিল, তাদের কাছে একাধিক তথ্য আছে, সেই তথ্যানুযায়ী গ্রেপ্তার করা হলে তার জন্য ধর্মঘট ডাকার কোন যৌক্তিকতা নাই।”
ধর্মঘট প্রত্যাহারের অহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য, কিন্তু মানুষকে জিম্মি করে এই ধরনের অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেওয়া বরদাস্ত করার সুযোগ নেই। আমরা চাই না, কেউ মানুষকে জিম্মি করে ফায়দা লুটুক।”