‘ভারতে সালাহ উদ্দিনের বিচার হবে’

অনুপ্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্টে ভারতে বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিচার হবে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন।

নয়া দিল্লি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2015, 08:42 PM
Updated : 24 May 2015, 11:26 AM

শনিবার ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে ষষ্ঠ বাংলাদেশ-ভারত সংলাপের ফাঁকে তিনি বলেন, “ফরেনার্স অ্যাক্টের আওতায় সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিচার হবে। এ নিয়ে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই।”

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিনের বিষয়টি নিয়ে তার স্ত্রী ও দলের নেতারা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করায় কিরন রিজিজুর এ বক্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।

প্রায় দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর গত সপ্তাহে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে গ্রেপ্তার হন সালাহ উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টে মামলা করে মেঘালয় পুলিশ।

কিডনি, হৃদযন্ত্রের জটিলতার পাশাপাশি চর্মরোগে আক্রান্ত সালাহ উদ্দিনের চিকিৎসা চলছে মেঘালয়ে।

চিকিৎসার জন্য সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ‘তৃতীয় কোনো দেশে’ নিয়ে যেতে চান তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। 

বিএনপি জোটের লাগাতার অবরোধের মধ্যে লুকিয়ে থেকে বিবৃতি পাঠিয়ে আসা সালাহ উদ্দিনকে গত ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় বলে তার পরিবারের দাবি। এজন্য হাসিনা আহমেদ ও বিএনপি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ী করলেও সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই তা অস্বীকার করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রিজিজু বলেন, উগ্রপন্থি ও অপরাধীদের শনাক্ত করতে ভারতকে সব ধরনের সহায়তা করছে বাংলাদেশ।

“বাংলাদেশ এ বিষয়ে খুব সহযোগিতা করছে। উগ্রপন্থি ও অপরাধীদের ধরতে তারা পূর্ণ সহায়তা দিচ্ছে।”

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে নয়া দিল্লি সব সময় আগ্রহী বলে মন্তব্য করেন তিনি।

স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে এ সংক্রান্ত বিল ভারতীয় পার্লামেন্টে পাশ হওয়া বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের শুভাকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত দেয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

ভারতের পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গাডকারী, রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু, ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।

দুই দিনের বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপ দিল্লি ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে, যাতে দুই দেশের সম্পর্ক ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নেওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

চার সেশনে এই সংলাপ হয়, যেখানে মন্ত্রী, কূটনীতিক, শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন।