নাজমুল তার ফেইসবুক পাতায় লিখেছেন, “জাফর ইকবাল স্যারের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব।”
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ সামাদ চৌধুরী কয়েস শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জাফর ইকবালকে ‘সিলেট বিদ্বেষী’ আখ্যায়িত করে বিষোদগার করেন।
তিনি বলেন, তার ক্ষমতা থাকলে জাফর ইকবালকে ধরে এনে চাবুক মারতেন।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জাফর ইকবালকে নিয়ে এ ধরনের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।
পাশাপাশি স্যোশাল মিডিয়ায় কয়েসের ওই বক্তব্য নিয়ে উস্মা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সমর্থকরাও। বিভিন্ন স্থানে মিছিল হয়েছে লেখক ও শিক্ষক জাফর ইকবালের প্রতি বিষোদগারের প্রতিবাদে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ওই সাংসদের কুশপুতুল পোড়ানোর ঘটনাও ঘটে।
৬৭ বছরের পুরনো সংগঠন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একজন এমপি তার ব্যক্তিগত মতামত দিতে পারে। এটা কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও কোনও বক্তব্য না, বাংলাদেশ ছাত্রলীগেরও বক্তব্য না।
“ছাত্রলীগ সবসময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে কখনো আপস করে না। অতীতের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী ছাত্রলীগ সবসময় অসাম্প্রদায়িক শক্তির পক্ষেই কাজ করবে।”