মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আগামী ৭ ও ৮ মে এ অভিযাত্রা হবে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পূর্ব গেইট থেকে সিলেট অভিমুখে যাত্রা শুরু হবে।
“প্রথম দফার আন্দোলন ছিল খালেদা জিয়ার হরতাল-অবরোধে যে প্রাণহানি হয়েছে, শিক্ষা প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য ধ্বংস হয়েছে তা বন্ধের দাবিতে।
“এখন আমাদের আন্দোলন খালেদার বিচার দাবিতে।”
শ্রমিক নেতা শাজাহান খান বলেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০২ সালের ৩০ জুন আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তাতে ২৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়েছিলেন।
“পাঁচ হাজার ছোট, বড় ও মাঝারি শিল্প বন্ধ করে কয়েক লাখ শ্রমিককে বেকার করেছিলেন তিনি। তাই শ্রমিক ও শিল্প ধ্বংসের প্রতিবাদে ১০ জুলাই আদমজীতে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।”
এছাড়া ২২, ২৩ ও ২৪ মে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক এক্য পরিষদের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গেও একই ধরনের আরেকটি অভিযাত্রা করা হবে বলে জানান তিনি।
সদ্য অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খান বলেন, “বেগম জিয়ার এসব কর্মকাণ্ডের জন্য তীব্র ক্ষোভ থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি থেকে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।”
গত ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোশেন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের মাঝপথে কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। তিন সিটিতেই জয়ী হয় আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইসমত কাদির গামা, আলাউদ্দীন মিয়া, হেদায়েতুল ইসলাম, সদস্য সচিব জেড এম কামরুল আনামসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।