“৫ সিটি নির্বাচনে হেরে শিক্ষা গ্রহণ করে, ভুল সংশোধন করে আমরা এই নির্বাচনে বিজয় এনেছি,” শনিবার ১৪ দলের এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণের মাঝপথেই জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা।
তাদের বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে আনিসুল হক, ঢাকা দক্ষিণে সাঈদ খোকন এবং চট্টগ্রামে আ জ ম নাছির উদ্দিন মেয়র পদে জয়ী হন। তারা তিনজনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের গত মেয়াদে রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটিতেই মেয়র পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিল।
ভোট সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিম বলেন, বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই সরে গিয়েছিল।
“তারা প্রমাণ করতে চেয়েছিল, শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। ভোট হয়েছে, মানুষ ভোট দিয়েছে।”
নির্বাচনী প্রচারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নেমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত করতে চেয়েছিলেন বলেও দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম।
“অন্য সব নির্বাচনের মতোই দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এ নির্বাচনে কোনো বড় অঘটন ঘটেনি। আমি এ জন্য নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকেই ধন্যবাদ জানাই।”
শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে সরকারের কোমরে জোরের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে বিএনপি নেতা আ স ম হান্নান শাহর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নাসিম বলেন, “ওদের (বিএনপির) কোমরে কত জোর আছে, সেটাই আমরা দেখতে চাই। ওদের কোমর সোজা করতে বলুন।”
ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে সামনে নাসিম।
তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলে সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য সুজিত রায় নন্দি প্রমুখ।