বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে আসা পুলিশের সঙ্গে মাহীর কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপে বিকল্পধারা প্রার্থীকে বলতে শোনা যায়, “এই ঘটনার বেনিফিশিয়ারি কে? অঙ্ক করলে মনে হতে পারে আনিসুল হক দোষী; কারণ তিনি বেনিফিশিয়ারি।
“তবে হামলার ধরন দেখে মনে হয়, এটা পারসোনাল একটা রাগ-ক্ষোভ থেকে হয়েছে। তখন মনে হয় যে, অন্য দিক থেকে করার সম্ভাবনা বেশি। মানে তাবিথের সাইড থেকে করার সম্ভাবনা বেশি।”
২০০৪ সালের হামলাকারীরা এই হামলা করেছে বলেও মন্তব্য করেন মাহী বি চৌধুরী।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ওই বছরের মার্চে বারিধারা থেকে মুক্তাঙ্গন যাওয়ার পথে মহাখালীতে হামলার শিকার হন মাহীর বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
এবার মাহী বি চৌধুরী পুলিশকে আরও বলেছেন, নির্বাচন থেকে সরে যেতে তার উপর বিএনপির চাপ রয়েছে।
মাহীর অভিযোগ সম্পর্কে তাবিথ আউয়ালকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি। যিনি অভিযোগ করেছেন, তার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। শোনা কথার উপর ভিত্তি করে কোনো মন্তব্য করতে আমি রাজি না।”
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাহী আমাদের বলেছেন, যারা ২০০৪ সালে একই জায়গায় তার উপর যারা হামলা চালিয়েছিল, তারাই এবারও তাকে হত্যার জন্য হামলা চালিয়েছে।”
তিনি বলেন, “মাহী বি চৌধুরী পুলিশকে বলেছেন, ‘আনিস ভাই এই কাজ করবেন না। এই কাজ করলে তাবিথের ৩টি লাভ হবে’।”
মাহীর বরাত দিয়ে মনিরুল আরও বলেন, “ভবিষ্যত জাতীয়তাবাদী রাজনীতি আমিই প্রধান, অন্য কেউ হিসেবে আসবে না। আমি না থাকলে অন্য কেউ এগিয়ে যাবেন, সরকারের উপর দায় চাপবে আর নির্বাচন পিছিয়ে যাবে তাতে বিএনপি নির্বাচনের জন্য সময় পাবে, আনিসুল হক পিছিয়ে পড়বেন আর তাবিথ জিতে যাবে।”
এ বিষয়ে কথা বলতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে মাহীকে পাওয়া যায়নি।
এটিএন নিউজের ‘ইয়াং নাইট’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বারিধারার বাসায় ফেরার সময় শনিবার রাত ২টার দিকে তেজগাঁওয়ে বিজি প্রেসের কাছে হামলার শিকার হন মাহী।
ওই হামলায় মাহী বাঁ হাত ও চোখে আঘাত পান। তার স্ত্রী আশফাহ হক লোপা এবং গাড়ি চালক শহীদ মণ্ডলও আঘাত পেয়েছেন। রাতেই গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন মাহী।
তেজগাঁওয়ে হামলার পর মাহীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে দায়ী করে মামলা করেছেন।
বিকল্পধারার সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে ও দলের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী ‘ঈগল’ প্রতীক নিয়ে এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বদরুদ্দোজার ছেলে মাহী নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন প্রত্যাশা করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিলেও তাতে সাড়া দেয়নি বিএনপি নেতৃত্ব।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়ালকে ঢাকা উত্তরে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি।
‘বাস’ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে ভোটে লড়ছেন তাবিথ। এই সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে লড়ছেন আরেক ব্যবসায়ী আনিসুল হক।
পুরো অডিও ক্লিপের বিস্তারিত নিচে দেয়া হল:
মাহী: হাত তো আমার ভাঙে নাই ভাই। ডিসলোকেট হয়েছিল তো। টান দিয়ে ঠিক করে দিছে। ব্যথা পেয়েছে আসলে আমার ওয়াইফ অনেক বেশি।
অজ্ঞাত: যেইটা শুনলাম আপনার চোখে লাগছিল..
মাহী: চোখে কাচের গুঁড়া ঢুকে গেছিল। এখন দুইভাবে চিন্তা করতে হচ্ছে আমাকে। কালকে হঠাৎ করে হিট অব দ্যা মোমেন্ট বুঝি নাই। এক, ওয়াজ দ্যাট জাস্ট এন এটেম্পট অর এ পাঞ্চ, ভয় দেখানো নাকি এটেম্পট অন লাইফ?
ওরা আমার গাড়ি ভাইঙা চইলা যাইতে পারতো। ওর যে ক্ষোভ রাগ ওদের, গাড়ি ভাইঙা কিন্তু যায় নাই। গাড়ি ভাঙছে, ড্রাইভারকে থামাইয়া চাবি নেবার চেষ্টা করেছে, মারামারি, ধস্তাধস্তি করছে। বাইরে থেকে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছে। গাড়ি থামাইতে পারলে কি করতো, বাইর কইরা নামাইয়া মারধর করতো।
অজ্ঞাত: এটিএন থেকে বের হলেন…সোনারগাঁও হয়ে..
মাহী: আমি যাওয়ার সময় ভিআইপি রোড দিয়ে যাবার সময় আটকা পড়লাম। পুরা অনুষ্ঠান লেইট হয়ে যাচ্ছে। কোন মতে চিপা চাপা দিয়ে গেলাম। আসার সময় সাত রাস্তা দিয়ে ফিরছিলাম। ওই রাস্তাটা অন্ধকার একটু, রাতে এভয়েড করি। কিন্তু কালকে উপায় ছিল না।
অজ্ঞাত: তাবিথের সঙ্গে ….?
মাহী: ও আমার ফোন ধরছে না। ওকে বলো ডু নট কাম। আই উইল নট বি এবল টু কন্ট্রোল মাই পিপল।
অজ্ঞাত: আচ্ছা তারপর তো সিটি ফিলিং স্টেশনে গেলেন..
মাহী: তেল নেবার জন্য গেছিলাম। ২/৪ মিনিটও না। হঠাৎ গতিরোধ করে।
অজ্ঞাত: তার মানে পূর্বপরিকল্পিত?
মাহী: অফকোর্স। ওরা আমাকে ফলো করেছে। প্রত্যেকদিন পত্রিকায় আসতাছে মাহী বি চৌধুরী রাতে রাত ১টা ২০ মিনিট থেকে ২টা পর্যন্ত লাইভে থাকে এটিএন নিউজে। আমি তো কখনো সিকিউরিটি নিয়া ঘুরি নাই ভাই?
এই এলাকায় কখনো সিকিউরিটি নিয়া চিন্তা করি নাই। আমার উপর হামলা হতে পারে এই চিন্তা মাথাও আসে নাই যে আমার উপর হামলা হতে পারে।
তেল নিয়ে গাড়ি রাস্তার সামনে গেলেই যেখানে ট্রাক রাখা থাকে সেখান থেকে ৮/১০ জন লোক ছুটে আসে।
অজ্ঞাত: তার মানে তারা ওইখানেই অবস্থান করছিল?
মাহী: না, ওরা ফলো করেছে। প্রত্যেকের মুখ ঢাকা ছিল। মাস্ক পড়া ছিল প্রত্যেকের। ওরা গত দুই দিন ধরেই চেষ্টা করছে। ব্যাটে বলে মেলাতে পারে নাই।
ওরা দৌড়াইয়া আসছে। ড্রাইভারের সাইডে না। আমার সাইডে এটাক হইছে। আমি ড্রাইভারকে বলছি জোরে টান দাও।
অজ্ঞাত: কারা সঙ্গে ছিল..
মাহী: আমি, আমার ফুপাত ভাই, স্ত্রী ও চাচাত ভাই।
অজ্ঞাত: কী ধারণা করছেন?
মাহী: এটা এটেম্পট অন লাইফ। কারণ, ভয় দেখাতে চাইলে গাড়ি ভাইঙা চলে যাইতো। ওরা গাড়ি ভাঙছে, থামাইছে, আমাকে সাইড করে চুল ধরে ভাঙা গ্লাসের মধ্যে আটকাইয়া দিচ্ছিল। চোখের মধ্যে কাঁচের টুকরো ঢুকে যায়। হাসপাতালে এক ঘন্টা লাগে কাঁচ বের করতে। এখনো কিছু আসে। যদিও ডাক্তার বলছে ভয়ের কিছু নাই।
গাড়ির পিছন থেকা পুরা গ্লাস ভাইঙা একটা হাতুড়ি ছুড়ে মারে। এই জন্য বলছি এটেম্পট অন লাইফ।
লোপা তো ভয়ে নিচু হয়ে গেছে। ওরা রড বা কিছু একটা দিয়ে লোপাকে বাড়ি মারছে। আমার চুল ধরে রাখে একজন, হাত দিয়ে মুখে মারছিল আর আরেকজন লোপাকে মারছিল।
ওরা ভয় দেখাইতে আসে নাই। আর আমি ভাবছি ওরা আবার পেট্রল বোমা মেরে দিলে তো গাড়ি থেকে বের হতে পারবো না।
অজ্ঞাত: রাত কয়টা অনুমান?
মাহী: ১টা ৫৭ মিনিটে বের হই। এরপর ২টা ৪ বা ৫ মিনিট। দুইটা ১০ বা ১৫ মিনিটের ঘটনা।
অজ্ঞাত: আমার যেটা মনে হয় যে কাকে সন্দেহ হচ্ছে, মানে কেন আপনার উপরে এরকম হবে?
মাহী: আমি কিন্তু আসলে খুব অবজেক্টিভলি কথা বলতেছি, খামাখা দোষ দিতেছি না। দুইটা জিনিস। এক, আমি কিন্তু কোন দল বলবো না এখানে, ব্যক্তি যদি বলি, বেনিফিসিয়ারি কে? ওই অংক করলে মনে হইতে পারে আনিসুল হক ইজ দ্যা বেনিফিসিয়ারি। বাট, সেম টাইম, অ্যাটাকের মটিভের যে স্টাইল দেখছি তাতে মনে হইছে, এটা পার্সনাল একটা রাগ, ক্ষোভ থেকে জিনিসটা আসছে। ওইখানে মনে হয় যে, অন্য দিকে করা সম্ভব আরকি। মানে তাবিথের সাইড থেকেই করার সম্ভাবনাটা বেশি।
কালকে সকাল থেকে আমাকে প্রত্যাহার করার জন্য একটা চাপ দিচ্ছে।
অজ্ঞাত: কারা?
মাহী: (মৃদু স্বরে) এই বিএনপির সাইড থেকে। তোমার জন্য আমরা হারতেছি।
অজ্ঞাত: কেউ কি কথা বলছে আপনার সাথে এ ব্যাপারে?
মাহী: মানে যারা বলছে তারা সিনিয়র লিডার ভালোভাবেই বলছে, তারা তো আর খারাপ ভাবে বলে নাই। এটুকু বুঝি যে এটা নিয়ে একটা আলোচনা ছিলো যে মাহী আমাদের অনেক ভোট নষ্ট করে ফেলতেছে।
অজ্ঞাত: তাকে কোনোভাবে থামানো আরকি….
মাহী: আসলে তো আমি ভোট নষ্ট করতেছি না, ওই ব্যাটা আমার ভোট নষ্ট করতেছে। আমি ছাইড়া দিলেও ও জিততে পারবে না। ও তো একটা না মরদ, ওর কাছে ঢাকা সিটির ৫০ লক্ষ লোক দায়িত্ব দিতে পারে না। ও জিতবে না। ও না থাকলে আমি জিততাম। ভোট যদি কেউ তাহলে নষ্ট করে ও আমার ভোট নষ্ট করতেছে।
অজ্ঞাত: ওদিকে তো ধারণা আপনি নষ্ট করছেন। আপনাকে কি কোনো গালাগালি করছে?
মাহী: হ্যাঁ, অনেক গালাগালি করছে। হারামজাদা তোর নির্বাচন করার খায়েস মিটাচ্ছি।
অজ্ঞাত: এটা কি বিএনপি লেভেলের পরিচিত কেউ নাকি অন্য কোন….
মাহী: না, না, যখন আঘাত করছে তখন বলছে।
অজ্ঞাত: না ওইটা না, আগে যেটা বললাম ….
মাহী: না না, বিএনপির সবার সাথে আমার সুসম্পর্ক আছে। বিএনপির পক্ষে যারা তারা তো আমার বিপক্ষের লোক না। তারা তো চাইছেই যে, আমি যেন সমর্থনটা পাই।
অজ্ঞাত: আমরা তো এটাই জানতাম….
মাহী: আমাকে তো সবাই চাইছে। শুধু একজন দুইজন লিডার চায় নি দেখে।
আপনারা একটু খোঁজ নিলে দেখবেন যে, আমার উপরে বারে বারে কে আঘাত করতেছে। এলাকা কিন্তু ওইটাই। মানুষ কিন্তু ওরাই, বারে বারে আমার উপর আক্রমন করতেছে।
অজ্ঞাত: এর আগে যারা করেছে…
মাহী: হ্যাঁ তারাই, ওদের কিন্তু ছবি আছে। এর আগে যারা করছে, আপনি ইউটিউবে যান, যারা হামলা করছে, তাদের ছবি আছে। এলাকা কিন্তু ওইটাই। ওই জায়গা থেকেই বারেবারে হচ্ছে।
অজ্ঞাত: এটা তো সবার দ্বারা সম্ভব না কিছু কিছু লোক ছাড়া
মাহী: আমি একটা জিনিস বলি, ওই জায়গাটাতে, নম্বর ওয়ান হয়তো গাড়ি থামানোর প্ল্যান ওরা ওই দিনই নিয়েছিলো নয়তো বা অন্য দিন নিয়েছিলো। আমি কাওরান বাজার দিয়ে, ভিআইপি রোড দিয়ে যাই আর সাত রাস্তা দিয়ে যাই ও কিন্তু এই তেজগাঁও শিল্প এলাকাটাকে চুজ করছিলো।
অজ্ঞাত: এটা.. হবে তাহলে
মাহী: হ্যাঁ এটাই হওয়া উচিত। এই জায়গায়, নির্জনতাটাকে কাজে লাগিয়ে, ওরা কিন্তু অন্য কোথাও, ক্যান্টনমেন্টে করবে না, গুলশানে হিট করবে না। গুলশান ইজ মাই এরিয়া, ওখানে পারবে না।
এখানে ওরা করার জন্য ওদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে। আর সেকেন্ডলি ওই এলাকাটাতে বাইরের কেউ গিয়ে রাত দুইটায় গণ্ডগোল করতে পারবে না। দিস ইজ ইমপসিবল।
অজ্ঞাত: তাহলে এর আগেও কোন সিম্পটম থাকত তাহলে
মাহী: না না, বাহিরের কোন লোক গিয়ে তো গুলশান মার্কেটের সামনে গণ্ডগোল করতে পারে না। তেজগাঁও শিল্প এলাকায় রাত দুইটার সময় প্ল্যান করে বসে থেকে কিছু করতে গেলে ওই এলাকার লোকাল সাপোর্ট ছাড়া পারবে না।
অজ্ঞাত: আমি যতটুকু চিনি, ওই এলাকা সম্বন্ধে ধারণা আছে আমার….. বাইরের লোক করতে পারবে না, যারা এই এলাকার অলি গলি সমস্ত কিছু চেনে যারা ওই এলাকার লোকাল
মাহী: ওরা হিট কইরা এখান থেকে পালায় যাইতে পারবে না। বাহিরের কেউ তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বাস ট্রাক মধ্য মধ্য দিয়া লোকাল সাপোর্ট ছাড়া …. ডিফিকাল্ট।
অজ্ঞাত: আর একটু আমি ইয়ে করি স্যার। আপনি চলে আসছেন যখন অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে। আপনার একটা বড় সমর্থক গোষ্ঠি আছে । এখানে আপনি যাদের কথা বলছেন তাদেরও বড় সমর্থক গোষ্ঠি আছে। এর মধ্যে কোন তথ্য লিক হয়ে আপনার কানে আসছে কিনা? মানে আপনিই বলেছেন যে কে করতে পারে, এ বিষয়ে।
মাহী: সত্যি কইরা বলি দুইটা সাইড আসছে। একটা সাইড আমাকে সারা দিন একটা পুরানা গ্রুপ, তোমার উপরে তাদের অনেক রাগ ক্ষোভ দুঃখ।
অজ্ঞাত: আপনার কানে এর মধ্যে আসছে কি-না?
মাহী: কী রকম?
অজ্ঞাত: জি আপনি বলেছেন, এই ঘটনা কে করতে পারে-এই বিষয়ে
মাহী: আমার কাছ থেকে দুইটা সাইড থেকেই আসছে। একটা সাইড আমাকে সারাক্ষণ লজিক দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, তোমার সেই পুরানা গ্রুপ, তোমার উপর যাদের রাগ ক্ষোভ দুঃখ।
অজ্ঞাত: আর সেকেন্ড হচ্ছে, যারা আপনাকে বসে যেতে বলেছিলো, কিন্তু আপনি বসেন নাই।
মাহী: ওইতো রাগ ক্ষোভের কারণে বসে যাই নাই। আরেকটা সাইড মনে করে, না মাহী, এ রকম ভাইবো না। চিন্তা করো এটার বেনিফিশিয়ারি কে? এটার বেনিফিশিয়ারি কিন্তু আনিসুল হক। সুতরাং এটা তারই
সো আমাকে কিন্তু দুই দিকের দুই রকম কথাই বলতেছে। সুতরাং আমি দোষ না দিয়ে বলছি ভাই, তদন্ত না করে আমি কারো উপর দোষ দিতে চাই না। কিন্তু এটা বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশের কেউ মনে হয়, আমাদেরকে পছন্দ করে না। কিন্তু সাধারণ মানুষ সবাই পছন্দ করে।”
অজ্ঞাত: কালকে আপনার উপর এটাক হলো, আপনি খুব ভয় পেয়ে গেছেন, ভয় পেয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন নাই করেন, আপনি ইলেকশন থেকে
মাহী: এটা যারা করেছে, তারা খুব ভালো করেই জানে, মাহি বি চৌধুরী ভয় পাইয়া নির্বাচন প্রত্যাহার করার মানুষ নয়। তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো, তখন তাদের মুখের উপর …. ওরা জানে ভয় পাওয়ার লোক আমি নই।
আমি একটু অন্যভাবে দুইটা দিক থেকেই বলি। আমি বার বার দুই দিক থেকেই বলিতেছি। আপনারা কিন্তু রিপোর্টটা দুইটা দিক থেকেই, আমার তথ্যটা….। আমি মনে করি, রাজনৈতিক দিক থেকে বললে, এটার বেনিফিশিয়ারি আনিসুল হক। সেইটা করা…….. আমার সিমপ্যাথি ভোট বাড়িয়ে ওনার লাভ। এটা হতে পারে।
দ্বিতীয়ত: আমি যদি তাবিথের দিকে বলি, ও এক ঢিলে তিন পাখি মারতে পারে। নাম্বার ওয়ান: যদি লাইফের উপর এটেম্পট হয়, তাহলে নির্বাচনটা বন্ধ হয়ে যাবে, ডিলে হয়ে যাবে। তাহলে তারা অধিক সময় পাবে……..। তাহলে নির্বাচন বন্ধ করার জন্য এটেম্পট করতে পারে।
দুই: আমার উপর রাগ ক্ষোভ দুঃখ যন্ত্রনা মিটানোর জন্য করতে পারে। তিন: আমিতো জাতীয়তবাদী চেতনার বাইরের লোক না। সুতরাং ফিউচার চিন্তা করে, জাতীয়তাবাদী শক্তির ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমি না থাকলে সুবিধা…….।
অজ্ঞাত: তিন নাম্বারকে এক নাম্বার করা উচিত ছিলো।
একটা হচ্ছে, ফিউচার লিডারশিপের সুবিধা হবে… কিন্তু পারসোনাল এনিমিটা যেটা…..।
মাহী: তাবিথের সঙ্গে আমার কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। নাবালক শিশু, ওর সঙ্গে কিসের এনিমিটি। ও চারদিন আগেও, ও সাত দিন আগেও আমার সাগরেদ ছিলো।
ওতো ক্যান্ডিডেট না আসলে। ওকেতো ধাক্কায়া নামাইছে রাস্তায়। ওতো এসব চায় নাই। আমি মনে করি না
তাবিথ তো তাবিথ না। ওর উপর তো আছর পড়ছে। তাবিথ মইরা গেলেও মাহী ভাইর উপর আক্রমণ করার দুঃসাহস দেখাবে না।
অজ্ঞাত: তাবিথকে যারা চালাচ্ছে, এটা তারা করতে পারে।
মাহী: তারা করতে পারে। আই ডোন্ট থিঙ্ক এখানে তাবিথ ব্যক্তিগত কোনভাবে জড়িত, আই ডোন্ট থিঙ্ক কোনভাবে এখানে বেগম খালেদা জিয়া জড়িত, বিএনপির হাই কমান্ড জড়িত। এখানে কিছু শর্টকাট আছে।
অজ্ঞাত: যারা তাবিথকে পরিচালিত করছে, তাদের কেউ কেউ...
মাহী: তাদের কেউ কেউ...। দলগতভাবে... এটা দলের বিষয় না।
অজ্ঞাত: আমরা এটাইতো ধারণা করছি, তিনটা পয়েন্টতো উনি বলেই দিলো যে, কেন এবং কারা?
মাহী: আমি আনিসুল হকেরটাও বলছি।
অজ্ঞাত: ওই সময় ওনারা কোন ফোন করেছে কি-না।
মাহী: না না।
অজ্ঞাত: আমরা যেটা জানতে পেরেছি, ওই সময়তো কেউ ছিলো না। ঘটনা ঘটে গেল। আমরা যেটা জানতে পেরেছি, আপনি ইউনাইটেড হসপিটালে
মাহী: ইউনাইটেড হসপিটালে গেছি। আমি প্রথম খবর দিছি আমার বাসায়।
অজ্ঞাত: এটা কি ঘটনার পরপরই।
মাহী: মনে হয়, ঘটনার চার-পাঁচ মিনিট পর। ওখানে ঢুইকা লোপা প্রথম ফোনটা দিছে, মুন্নীকে, মুন্নী সাহাকে।