চট্টগ্রামে অর্ধেক মেয়রপ্রার্থীকেই ‘চেনেন না’ ভোটাররা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারের মাঠে ১২ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে অর্ধেককে ‘খুঁজেই পাননি’ ভোটাররা।

মোস্তফা ইউসুফবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2015, 11:23 AM
Updated : 26 April 2015, 03:52 PM

বন্দরনগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, গণসংযোগে দেখা না মেলায় মেয়র পদের প্রত্যাশী এই প্রার্থীদের মুখই চেনা হয়নি ভোটারদের।

শহরে তাদের পোস্টারও চোখে পড়ে কালেভদ্রে। মাঝেমধ্যে গুটিকয়েক সমর্থক নিয়ে পথে বেরিয়ে ‘দায়সারাভাবে’ ভোট চেয়েছেন তারা।

প্রচারের আলোর বাইরে থাকা এই প্রার্থীরা বলছেন, গণমাধ্যমগুলো ‘শুধু বড় দলের প্রার্থীদের নিয়ে মাতামাতি’ করায় তারা খুব একটা প্রচার পাচ্ছেন না।

চট্টগ্রামে এবার মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আ জ ম নাছির উদ্দিন (হাতি), বিএনপি সমর্থিত মনজুর আলম (কমলা লেবু), জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ (ডিশ এন্টেনা), ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (চরকা), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের হোসাইন মোহাম্মদ মজিবুল হক (ময়ুর) ও জাসদের শফিউল ‍আলম (ইলিশ মাছ)।

বাকি ছয় প্রার্থী হলেন- বিএনএফ সমর্থিত আরিফ মঈনুদ্দিন (বাস), ইসলামী শাসনতান্ত্রিক আন্দোলনের ওয়ায়েজ হোসেন ভূঁইঞা (টেবিল ঘড়ি), গাজী আলাউদ্দিন চৌধুরী (টেলিস্কোপ), সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা (ক্রিকেট ব্যাট), সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি (ফ্লাস্ক) ও আবুল কালাম আজাদ (দিয়াশলাই)।

এদের মধ্যে প্রথম ছয় প্রার্থীকে ভোটের প্রচারে সক্রিয় দেখা গেছে। নাছির আর মনজুর প্রতিদিনই নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন নগরীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

জাতীয় পার্টির নেতাদের দাবি, সোলায়মান শেঠ নগরীর তিন চতুর্থাংশ এলাকায় গণসংযোগ শেষ করেছেন। এম এ মতিন, মজিবুল হক ও শফিউল আলমের পক্ষে প্রচার চলছে ‘নানা উপায়ে’।

নগরীর আকবর শাহ এলাকার ভোটার রিকশাচালক জব্বার মিয়া বলেন, “সারাক্ষণ খালি হাতি আর কমলার কথা শুনি। বাকি মেয়র প্রার্থীর কাউরে চিনি না।”

শনিবার ইসলামী ফ্রন্টের মেয়রপ্রার্থী এম এ মতিন বলেন, “জনগণের ম্যান্ডেট আদায় করতে পারব এমন আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছি। আমরা সাধ্যমত গণসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছি।

“তবে যেভাবে মিডিয়ার নজর দুই প্রধান দল সমর্থিত প্রার্থীর ওপর থাকে, তাতে আমাদেরটা ঠিকমতো প্রচার পায় না।”

আরেক মেয়রপ্রার্থী ওয়ায়েজ হোসেন ভূঁইঞার অভিযোগ, গণমাধ্যমে তাদের ‘একরকম অবহেলাই’ করে।

“বড় দুই দলের বাইরে অন্যরা মিডিয়ায় জায়গায় পায় ‍না। ফলে গণসংযোগই আমাদের একমাত্র ভরসা জনগণের কাছে পৌছানোর জন্য। এ জন্য আমাদের পরিশ্রমও করতে হয় বেশি।”