মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় সিটি নির্বাচনের প্রচারের শেষদিন রোববার নগরীর আন্দরকিল্লার বাসা থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের এ আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
নাছির বলেন, “আমি উনাকে (মনজুর) যত বছর ধরে চিনি-জানি, উনি খুব সূক্ষ্ম ও সুচতুরভাবে কাজ করতে অভ্যস্ত।
“গতবারও তিনি টাকা দিয়ে ভোট কিনেছিলেন। তার সঙ্গে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতাকে নিজের পক্ষে কাজে লাগিয়ে গতবার জয় পেয়েছিলেন। এবারও তিনি একইভাবে কাজ করতে পারেন।
“যেহেতু উনি একসময় আওয়ামী ঘরানার লোক ছিলেন, তাই আমাদের অনেকের সঙ্গে, এমনকি আমার সঙ্গেও তার ভালো সম্পর্ক।
“মেয়র প্রার্থী হওয়ায় আমাকে তো তিনি প্রভাবিত করতে পারবেন না। তবে আমাদের অনেককে নানা রকম লোভ-প্রলোভন দেখিয়ে প্রভাবিত করার সুযোগ তিনি নিতে পারেন।”
এ বিষয়ে যথাযথ নজরদারির ব্যবস্থা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান নাছির উদ্দিন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরের বছর সিসিসি নির্বাচনে নিজের রাজনৈতিক ‘গুরু’ মহিউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে মনজুর মাঠে নামেন এবং ৯৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন।
চার বছর পর আবারো বিএনপির সমর্থনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়ার জন্য লড়ছেন মনজুর।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী আ জ ম নাছির উদ্দিন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।
নাছির ‘হাতি’ আর মনজুর ‘কমলা’ প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে আছেন।
ভোটারদের ওপর তার আস্থা রয়েছে জানিয়ে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন নাছির।