তবে যে ফলই আসুক, ‘জনগণ ও মিডিয়া’ যদি বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, তাহলে তা মেনে নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন রোববার পল্টনে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হকের বাসায় যান আফরোজা। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রচার নিয়ে সন্তুষ্ট না হলেও মানুষের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ জানান আব্বাসপত্নী।
তিনি বলেন, “সাধারণ জনগণ যদি ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে, নিজের ভোট নিজে দিতে পারে, নীরব বিপ্লব হয়ে যাবে। আমরা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত।”
নাশকতাসহ বেশ কয়েকটি মামলা মাথায় নিয়ে আব্বাস প্রকাশ্য প্রচারে না আসায় তার পক্ষে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্ত্রী আফরোজাই প্রচার চালালেন।
তিনি বলেন, “সরকার মির্জা আব্বাসকে জনসংযোগে অংশ নিতে দিল না। তার কোনো রকম প্রভাব পড়েনি। কারণ সাধারণ জনগণ একটা পরিবর্তন চায়। যেখানে যাচ্ছি, সবার একটাই কথা, আমরা এই গুম খুন ও হত্যার রাজনীতি থেকে মুক্তি চাই।
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমরা চাই, আপনারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন। তাহলেই হবে।”
ভোটের অধিকার না থাকাটাই জাতির জন্য বিপদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যেখানে যাই, মানুষ বলছে, তারা ভোট দিতে পারবে তো?
“সেনাবাহিনী নামানোর দাবি কিন্তু আমাদের না। এটা জনগণের দাবি। জনগণের সঙ্গে আমাদেরও আছে। সাধারণ জনগণ শুধু বলছে সেনাবাহিনী নামান। আমরা ভোট দিতে গিয়ে দেখব আমাদের ভোটটা দেয়া হয়ে গেছে। এই সুযোগটা আমরা হারাতে চাই না। সেজন্য সবাই সেনাবাহিনী চায়।”
আব্বাসের বিজয় ‘নিশ্চিত’ জেনে সরকার ‘ভীত হয়ে’ প্রচারে বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ আফরোজার।
“প্রথম দিন থেকে আমাদের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে, যেভাবে সাধারণ জনগণ সম্পৃক্ত হয়েছে, তাতে ভীত হয়ে, সরকার প্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাদের গণসংযোগে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছে। জনগণকে ভীত করার চেষ্টা করছে।”
আওয়ামী লীগসমর্থিতপ্রার্থী ‘প্রশাসনের সহায়তায় বিরাট বিরাট মিছিল’ করলেও বিএনপি সমর্থিতপ্রার্থীর বেলায় নির্বাচন কমিশন ‘সীমাবদ্ধতার কথা বলছে’ বলে অভিযোগ আফরোজার।
“আমাদের ব্যানার লাগাতে দেয় না। পোস্টার লাগাতে দেয় না। আমাদের ক্যাম্পগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে। তালা লাগিয়ে দিচ্ছে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। গতকাল একজন স্থানীয় সহসভাপতিকে গুলি করেছে। এভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে।”
রফিক-উল হকের বাসা থেকে বেরিয়ে সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় আব্বাসের ‘মগ’ মার্কায় প্রচার চালান আফরোজা।
সেখানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “জনগণ ও মিডিয়াই আমাদের ভরসা। তারা যদি বলে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, তাহলে আমরা মেনে নেব।”
পারিবারিক সম্পর্কের সূত্র ধরেই রফিক-উল হকের সঙ্গে দোয়া নিতে এসেছিলেন বলে জানান তিনি।