তিনি বলেছেন, “শুক্রবার বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমানের বক্তব্যে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে বিএনপি সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে চাইছে। তারা সেনাবাহিনীকে নির্বাচনী মাঠে রেখে কী উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চায়?”
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে আলোচনার মধ্যে শনিবার ১৪ দলের এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন জোটের সমন্বয়ক নাসিম।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছিল। তারা সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার দাবিও জানায়।
নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিলেও পরে জানানো হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তা চাইলেই সেনাবাহিনী সেনানিবাস ছেড়ে বাইরে আসবে।
নির্বাচন কমিশনের পদেক্ষেপের সমালোচনা করে বিএনপি বলছে, সরকারের ইঙ্গিতেই সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলেছে। আর এভাবে সেনা মোতায়েন হবে ‘আইওয়াশ’।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিম বলেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে ও আন্দালনে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়া সেনাবাহিনীকে উসকানি দিচ্ছেন।”
সিটি নির্বাচনের প্রচারে গাড়িবহর নিয়ে খালেদা জিয়ার নামার সমলোচনা করে তিনি বলেন, “বিএনপি নেত্রী নির্বাচন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বাচনী আইনবহির্ভূতভাবে গাড়িবহর নিয়ে ও অস্ত্রসহ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোট চাইতে মাঠে নেমেছেন।”
এভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে ১৪ দল রোববার নির্বাচন কমিশনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে বলেও জানান তিনি।
ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে ছিলেন জাসদ নেতা শিরীন আখতার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের নেতা ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশা, বাসদের নেতা রেজাউর রশিদ খান, আওয়ামী লীগ নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দি প্রমুখ।
খালেদা বের হলেই ‘প্রতিক্রিয়া’ দেখবেন
অবরোধ-হরতালে নাশকতার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যেখানেই যাবেন জনগণের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সেখানেই দেখবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক খান।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হকের নির্বাচনী প্রচারে শনিবার তেজগাঁও কলেজের সামনে এক পথসভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
আনিসুল হকের নির্বাচন পরিচালনার সমন্বয়ক ফারুক খান বলেন, প্রচারণায় নামার আগে খালেদা জিয়ার উচিত ছিল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে অবরোধের আগুনে পেট্রোল বোমায় দগ্ধদের যন্ত্রনা দেখে আসা উচিত ছিল।
“এছাড়া দগ্ধদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, তাদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়া এবং আর কোনোদিন হরতাল-অবরোধ না করে গণতন্ত্রের পথে হাঁটবেন বলে কথা দেওয়ার দরকার ছিল।”