নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার সকালে এ সংক্রান্ত চিঠি বিএনপি প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
গাড়িবহর নিয়ে ভোটের প্রচারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের’ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন।
গত শনিবার থেকে ঢাকায় গাড়িবহর নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে থাকা বিএনপি নেত্রী খালেদা মাঝখানে একদিন বিরতি দিয়ে শুক্রবারও প্রচার চালিয়েছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এখন সরকারের লাভজনক কোনো পদে না থাকায় আইন অনুযায়ী তার ভোটের প্রচারে থাকতে কোনো বাধা নেই।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন সহস্র নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম কুদ্দুছ। এরপরই আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিঠি দিতে বলে কমিশন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার ঠিকানায় ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে গত ছয় দিনে বিএনপি নেত্রীর প্রচার কার্যক্রম আচরণবিধি পরিপন্থি হওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় এবং তাকে বিধি লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহর নিয়ে প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালানোর সময় সাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। পাশাপাশি তার গাড়ি বহরের ওপর কিছু ব্যক্তি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
১৮ এপ্রিল থেকে তার কার্যক্রম তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়, এসব কাজ আচরণবিধির পরিপন্থি, যা শাস্তিমূলক অপরাধ।
“এসব বিধি আপনাকে অবগত করে এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকার বিশেষ অনুরোধ করছি,” লেখা হয়েছে চিঠিতে।
এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকেও এ ধরনের চিঠি দেওয়ার পর তিনি নির্বাচনী প্রচার থেকে সরে যান।
আচরণবিধির ৯ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তি বিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার জরিমানা, সর্বোচ্চ ৬ মাসের দণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।