ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী প্রচারণায় গণমাধ্যম সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা আব্দুল্লাহ আল হারুন সোহেল এ অভিযোগ করেছেন।
শুক্রবার বিকালে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, নাবিস্কো এলাকায় গণসংযোগের পর পাশের রহিম মেটাল জামে মসজিদে তাবিথ আউয়ালের জুমার নামাজ পড়ার কথা ছিল।
“তিনি নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে সেখানকার পুলিশ বলে, এখানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নামাজ পড়বেন। তাই তিনি যেন অন্য কোনো মসজিদে নামাজ পড়তে যান।”
পরে তাবিথ ‘নাখালপাড়া বড় মসজিদ’ এ জুমার নামাজ পড়েন জানিয়ে সোহেল বলেন, “আমার জানা ছিল মসজিদ এমন একটি জায়গা যেখানে সকলেই আসতে পারে। কিন্তু এই মসজিদেও বিভাজন তৈরি করা হল।”
এ অভিযোগ অস্বীকার করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, “প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ওই মসজিদে নামাজই পড়েননি। তিনি নামাজ পড়েছেন বেগুনবাড়ির ‘সিদ্দিক মসজিদ ঢাল’র মসজিদে।”
তাবিথ আউয়ালও ‘রহিম মেটাল মসজিদে’ যাননি দাবি করে তিনি বলেন, “তিনি (তাবিথ) নামাজ পড়েছেন নাখালপাড়ার একটি মসজিদে। তাদের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।”
নির্বাচন বিধিতে কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ধর্মীয় আচার পালনে বাধা নেই।
সকালে মহাখালীতে প্রচার চালানোর সময় তাবিথ বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, সরকার জনগণকে ভোটের অধিকার ফেরত দেবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যতবারই ২০ দলীয় জোট বা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ততবারই তারা কোনো ভালো উদ্যোগ নিয়ে আসেননি। একতরফা গণতন্ত্র চলছে।”
সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন বারবার তাদের মত পাল্টে খুব বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিচ্ছে। তবে আমরা এখনো আশাবাদী সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তাদের যে পদক্ষেপ নেওয়ার তা তারা নিয়ে ফেলবে।”
শুক্রবার বিকালে বসিলা উত্তরপাড়া ও মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালানোর কথা রয়েছে তাবিথ আউয়ালের।