এছাড়া আরেকজনকে বহিষ্কার করতে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতা হলেন মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ডিলসকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হল ডাইনিং-এ বাকি খাওয়াকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে কলহের জের ধরে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মারামারি করায় তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হযরত আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাসা থেকে টাকা পাঠাতে দেরি হওয়ায় গত দুই দিন ডাইনিংয়ে বাকিতে খাবার খেয়েছি। ডাইনিং ম্যানেজারকে বিষয়টি বলেছিও। কিন্তু এ ঘটনা নিয়ে হঠাৎ করেই কক্ষের সামনে এসে আমাকে অতর্কিত মারধর করে দেলোয়ার হোসেন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে আমিও তাকে ধাক্কা দিয়েছি।”
দেলোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হযরত ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে ডাইনিংয়ে বাকি খেয়েছে এবং টাকা চাওয়ায় ম্যানেজারকে হুমকিও দিয়েছে। এ ঘটনা জানতে তার কক্ষের সামনে গেলে সে খারাপ আচরণ করায় তাকে কয়েকটা চড়-থাপ্পড় দিয়েছি।”
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় হযরতকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আর দেলোয়ারকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।