সোমবার এক ব্রিফিঙে বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “গতকাল সরকার প্রধান বলেছেন, বাস পুড়িয়ে এখন বাস মার্কায় ভোট চাচ্ছেন খালেদা জিয়া। কেবল তাই নয়, উত্তরায় বিএনপি চেয়ারপারসন নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় শাসকদলের কর্মীরা কালো পতাকা প্রদর্শন করে তার প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। তার গাড়িবহর আটকে স্বাভাবিক চলাচলে বাধা দিয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কিনা- নির্বাচন কমিশনকে তা খতিয়ে দেখতে বলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রিপন।
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি এসব তৎপরতা অনিভিপ্রেত, উসকানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর মাধ্যমে সরকার নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিবেশকে উত্তপ্ত পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।”
রোববার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন সে সময় উত্তরায় বিএনপি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে গণসংযোগে ছিলেন খালেদা জিয়া।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “এখন আবার উনি নেমেছেন। আগে পেট্রোল বোমা আর ককটেল বিলি করেছেন। এখন লিফটলেট বিলি করছেন, সেই বাস মার্কায়।”
আগের দিন একই এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন বিএনপিপ্রধান। তাকে কালো প্রতাকা প্রদর্শনের পাশাপাশি তার সঙ্গে থাকা পুলিশের গাড়িতে লাঠি ছুড়ে মারা হয়।
রিপন বলেন, “আমরা শান্তি চাই। কার্যকর রাজনৈতিক সমঝোতা চাই। কিন্তু সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রীরা যেভাবে সিটি নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের উচিৎ হবে নির্বাচনী পরিবেশ যাতে উত্তপ্ত না হয়, সে ব্যাপারে ক্ষমতাসীনদের সর্তক করে দেওয়া।”
সোমবার সকালে খালেদার জিয়ার গুলশানের বাসা থেকে পুলিশি নিরাপত্তা তুলে নেয়ার সঙ্গে সরকারের ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডের যোগসূত্র’ থাকতে পারে বলেও রিপন মন্তব্য করেন।
“তিনি দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান, শীর্ষ পর্যায়ের নাগরিক। যদিও তিনি বর্তমানে রাষ্ট্রের কোনো পদে নেই, তারপরও তার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে রাষ্ট্রকে ভাবতে হবে। একজন হাই প্রোফাইল ব্যক্তি হিসেবে তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সরকারের দেওয়া উচিৎ।”
সোমবার ভোরে গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে পুলিশি নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়। গত ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয় থেকে বাসায় ফিরে এলে পুলিশি নিরাপত্তা দেয় ডিএমপি।
অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক আফজাল এইচ খান, শিল্প বিষয়ক সহ-সম্পাদক জহিরুল ইসলাম শাহজাদা মিয়া সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।