শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত বেঞ্চেই আব্বাসের জামিন আবেদন

দুর্নীতি দমন কমিশনের এক মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন শেষ পর্যন্ত হাই কোর্টের নির্ধারিত বেঞ্চে উপস্থাপন করেছেন তার আইনজীবীরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2015, 02:06 PM
Updated : 16 April 2015, 02:22 PM

আব্বাসের আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চ আবেদনটি উপস্থাপন করেন। এ বেঞ্চকেই দুদকের মামলা শোনার দায়িত্বে দেওয়া রয়েছে।

আগামী মঙ্গলবার আবেদনটি শুনানির জন্য বেঞ্চের তালিকায় আসবে বলে আব্বাসের অন্যতম আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

এদিন আব্বাসের পক্ষে খোকন ছাড়াও আদালতে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন।

নাশকতার দুটি মামলার সঙ্গে এ মামলায় আব্বাসের আগাম জামিনের জন্য গত সপ্তাহে হাই কোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে তোলেন আইনজীবীরা।

কিন্তু হাই কোর্টে দুদকের মামলা শোনার জন্য আলাদা বেঞ্চ থাকায় দুদকের মামলায় জামিনের আবেদনটি বুধবার কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ।   

একইসঙ্গে নাশকতার দুই মামলায় ওই বেঞ্চে বিভক্ত আদেশ হওয়ায় জামিন পাননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

ওই আদেশের পর বুধবারই দুদকের মামলা শোনার জন্য বেঞ্চ ঠিক করে দিতে প্রধান বিচারপতির কাছে যান আব্বাসের আইনজীবীরা। তারা দাবি করেন, বিষয়টি যেহেতু প্রধান বিচারপতির কাছে গেছে, সেহেতু বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি ধরে নিতে হবে এবং আব্বাসকে ওই মামলায় প্রেপ্তার করা যাবে না।    

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সে সময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এই যুক্তি দেখানোর কৌশল হিসাবেই আব্বাসের আইনজীবীরা দুদকের মামলা শোনার জন্য নির্ধারিত বেঞ্চে না গিয়ে অন্য বেঞ্চে জামিনের আবেদনটি তুলেছিলেন।

তবে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার নির্ধারিত বেঞ্চেই শুনানির জন্য বিষয়টি উপস্থাপন করেন।

এ বিষয়ে খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুদকের মামলা শুনানির জন্য একটি বেঞ্চ থাকায় বৃহস্পতিবার আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়েছে।”

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে গতবছর ৬ মার্চ শাহবাগ থানায় দুদকের করা এ মামলার এজাহারে আব্বাসের নাম না থাকলেও গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় জামিনের আবেদন করেছেন তিনি।

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হলেও মামলা মাথায় নিয়ে গত তিন মাস আত্মগোপনে ছিলেন বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক আব্বাস। দীর্ঘদিন পর গত সোমবার জামিন চাইতে তিনি প্রকাশ্যে আসেন।