খালেদা আদালতে যাবেন ‘নিরাপত্তা পেলে’

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে নিজের গুলশানের কার্যালয়ে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী রোববার আদালতে যেতে পারেন, তবে সেজন্য আগের মতোই ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তার’ শর্ত দিয়েছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2015, 09:09 AM
Updated : 2 April 2015, 11:41 AM

এর আগে আদালতে আত্মসমর্পণের শর্ত হিসাবে খালেদাকে আবার তার কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়ার নিশ্চয়তা চাইলেও বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে কিছু বলনেনি তার এই উপদেষ্টা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খন্দকার মাহবুব বলেন, “উনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উনি আদালতে যেতে ইচ্ছুক। অতীতেও বলেছি উনি নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে যেতে পারছেন না। বিগত দিনে যখন আদালতে গিয়েছিলেন পথে তার গাড়িবহরের ওপর আক্রমণ হয়েছিল।

“এই কারণেই খালেদা জিয়া শঙ্কিত, আমরাও আইনজীবী হিসেবে শঙ্কিত যে উনি আদালতে যাওয়ার পথে হামলা হতে পারে। সে কারণে সরকারের দায়িত্ব হবে তাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া।”

আগামী ৫ এপ্রিল রোববার জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে এ দুটি মামলার বিচার চলছে।

আর আগে গত ৪ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন নাকচ করে দিয়ে শুনানির এই দিন ঠিক করে দেন বিচারক।  

খন্দকার মাহবুব বলেন, “নিরাপত্তার বিষয়ে যদি তিনি (খালেদা জিয়া) আশ্বস্ত হন, তাহলে অবশ্যই তিনি সম্মান দেখিয়ে আদালতে উপস্থিত হবেন।”

কী ধরনের নিশ্চয়তা চাইছেন জানতে চাইলে খালেদার আইনজীবী বলেন, “উনার জানমালের নিরাপত্তা। সংবিধানে আছে জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার কর্তৃপক্ষ হলো সরকার... সেই ধরনের নিরাপত্তা।”

‘একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী’ হিসাবে আদালতে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে ধরনের নিরাপত্তা খালেদার পাওয়া উচিৎ, সে ধরনের নিরাপত্তা তাকে দিতে হবে বলেও দাবি করেন তার উপদেষ্টা।

বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মামলা দুটি অন্য আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশনা চেয়ে খালেদা জিয়া হাই কোর্টেও একটি আবেদন করেছেন, যার শুনানি এপ্রিলেই হওয়ার কথা।

ওই আবেদনের বিষয়টি উল্লেখ করে খন্দকার মাহবুব বলেন, “ওই আবেদনের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালত- যার প্রতি আমরা অনাস্থা দিয়েছি, তার পক্ষে মামলাটির শুনানি করা নীতিগতভাবে উচিত হবে না।”

লাগাতার অবরোধ ডেকে গত দুই মাস ধরে গুলশানের কার্যালয়ে অবস্থানরত খালেদা টানা কয়েকটি ধার্য দিনে আদালতে অনুপস্থিত থাকায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত তুলে ধরে খন্দকার মাহবুব সে সময় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং গুলশানের কার্যালয়ে পুনরায় ঢোকার নিশ্চয়তা পেলেই আদালতে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।