বুধবার বিকালে নগরীর মুসলিম হলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোননয়ন যাচাই-বাছাই শেষে এ কথা বলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।
‘নির্বাচনী বৈঠকে’ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি অবহিত হয়েছি। এটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
এদিকে মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছির উদ্দিনের পক্ষে ওই বৈঠক নিয়ে ইসিতে অভিযোগ দিয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম মনজুর আলমের সমর্থকরা।
মঙ্গলবার নগরীর হোটেল পেনিনসুলার দোতলায় আওয়ামী লীগের একটি বৈঠক হয়। এতে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাবার সময় ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “নির্বাচন নিয়ে দলীয়ভাবে বসছি। নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কথা হয়েছে। এখানে একাধিকবার নির্বাচিত অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা ছিলেন। তারা অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন।”
বিধিমালা অনুযায়ী, সরকারের কোনো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপ-মন্ত্রী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন না।
নাগরিক কমিটির প্রার্থী নাছিরের পক্ষে বৈঠকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতি ‘বিধি ভঙ্গ’ করেছে দাবি করে বুধবার সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন।
উন্নয়ন আন্দোলনের ব্যানারে প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী মেয়র মনজুর, তাকে বিএনপি ও ২০ দল সমর্থন দিয়েছে।
এরআগে গত মঙ্গলবারও উন্নয়ন আন্দোলনের পক্ষে নাগরিক কমিটির প্রার্থী নাছির উদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডলের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ দেওয়া হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতেন বলেন, “তদন্তে প্রমাণ হলে অবশ্যই পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। আর যদি প্রমাণ হয় প্রতিবেদক কাউকে হেয় করতে বা কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করেছেন, তবে আমরা তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে কমিশনকে সুপারিশ করব।”
চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব এস ইউ এম নুরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আচরণবিধি বারবার ভঙ্গ করা হচ্ছে। সব গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
“আমরা শঙ্কিত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না? নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দিতে পারবে কি না? মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সভা করে বক্তব্য দেওয়ার কারণে ভোটারও ভীত হয়ে পড়ছেন।”