২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বুধবার ইসি সচিবালয়ে গিয়ে সিইসির সঙ্গে কথা বলেন আ স ম হান্নান শাহর নেতৃত্বে বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
তারা একটি চিঠি দেন সিইসিকে, যাতে পাঁচটি বিষয় তুলে ধরে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করা হয়।
প্রার্থীদের মধ্যে যারা আসামি, তাদের গ্রেপ্তার না করা, প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন পরিচালনাকারীকে গ্রেপ্তার না করা, সরকারবিরোধী প্রার্থী কিংবা তার সমর্থকদের আটক করা ঠেকাতে বলেন তারা।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সন্ধ্যায় কাজী রকিব সাংবাদিকদের বলেন, “আমি তাদের স্পষ্ট করে বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয় আইন মোতাবেক আমরা সবই করব।”
গ্রেপ্তার-হয়রানির বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রতিনিধি দলই বলেছে, যাদের মামলা রয়েছে, তারা আদালতে লড়বে। আদালতের বিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই।
“যারা আত্মগোপনে রয়েছে বা পলাতক রয়েছে, তাদেরকে ইসি বাইরে আনতে পারবে না। ... আইনেই বলা রয়েছে-যারা জামিনে থাকবেন তাদের এক ব্যবস্থা, যারা পলাতক থাকবেন তাদের এক ব্যবস্থা।”
কারাগারে থেকেও অতীতে অনেক প্রার্থী ভোটে অংশ নিয়ে জিতে এসেছেন বলে সিইসির কাছে তুলে ধরেন বিএনপি নেতারা।
“ভোটাররা অনেক সচেতন। যদি যোগ্য প্রার্থী হন, ভোটাররা তাদের বেছে নেবেন, একথা প্রতিনিধি দলই বলেছে,” বলেন সিইসি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও সে বিষয়ে কমিশনের করার কিছু নেই বলে জানান তিনি।
“আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে সেখানে সিদ্ধান্ত হবে।”
স্থানীয় সরকারের এই ভোটে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিইসি জানান, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক আগামী বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।