সালাহ উদ্দিনকে উদ্ধারে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব রয়েছে দাবি করে একেই নিজেদের সন্দেহের ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন তারা।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবের গুলশানের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদকে সান্ত্বনা জানান।
পরিষদের নেতা ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, “তার নিখোঁজের বিষয়ে আদালতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল, তা সালাহ উদ্দিনের স্ত্রীর আইনজীবীকে না দেখানো এবং সরকারের নিশ্চুপ থাকাই প্রমাণ করে, এর সঙ্গে তারা জড়িত।”
গত ১০ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে সালাহ উদ্দিনকে তুলে নেওয়ার পর থেকে তার পরিবার ও বিএনপি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ী করে আসছে।
তবে সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবৃতি পাঠিয়ে আসা সালাহ উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে।
রুহুল আমিন গাজীর নেতৃত্বে শওকত মাহমুদ, আ ন হ আখতার হোসেন, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, হাসান জাফির তুহিন ও রফিকুল ইসলাম বিএনপি নেতার বাড়িতে যান।
এসময় হাসিনা আহমেদ আবারও দাবি করেন, তার স্বামীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই তুলে নিয়ে গেছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমি আমার স্বামীর খোঁজ আজও পাচ্ছি না। আমার বাচ্চাদের কাছে আমি কী জবাব দেব?”
সালাহ উদ্দিনের সন্ধান পেতে হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ইতোমধ্যে স্মারকলিপি দিয়েছেন হাসিনা। তিনি একটি রিট আবেদনও করেছেন হাই কোর্টে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তার শুনানি হবে।