রোববার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের এই ছেলে। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ আজিজ, সাংসদ ফজলে নূর তাপস, দলের নেতা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক তার সঙ্গে ছিলেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর খোকন বলেন, “জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।”
নির্বাচনে কাকে প্রতিপক্ষ মনে করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি বিএনপি নির্বাচনে আসবে। তাহলে বিএনপির প্রার্থীই আমার প্রতিপক্ষ।”
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো কাউকে সমর্থনের ঘোষণা আসেনি। তবে দলের অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসসহ কয়েকজন মনোনয়নপত্র তুলেছেন।
বিধি অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য বাইরে গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যেতে হবে, সেখানে যেতে পারবেন সর্বোচ্চ পাঁচজন।
এর ব্যাখ্যায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন বলেন, “আমার পায়ে সমস্যা থাকায় গাড়িটা ভিতরে ঢুকিয়েছি। নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তার কাছে আমরা পাঁচজনই গিয়েছি। অন্যান্য যাদের দেখেছেন ওরা বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী।”
অবশ্য সাঈদ খোকন যখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান সে সময় সেখানে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন নিখিল ভদ্র নামের এক সম্ভাব্য প্রার্থী।
ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য খোকনের পাশাপাশি মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ সেলিমও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
তবে গত বুধবার গণভবনে এক বৈঠকের পর আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা নির্বাচনে সাঈদ খোকনকে জিতিয়ে আনতে নির্দেশ দিয়েছেন। মনোনয়ন জমা না দিয়ে ওই রাতেই চিকিৎসার কথা বলে ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন হাজি সেলিম।
ওই অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসাবে ব্যবসায়ী আনিসুল হককে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।
আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের পাশাপাশি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট হবে।
গত ১৮ মার্চ তফসিল ঘোষণার পর এই কয়েক দিন ধরে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহীরা। রোববারই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে।
বেলা ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ে ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের ছেলে ববি হাজ্জাজ।দলীয় প্রার্থী ঠিক হওয়ার পরেও মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেওয়ায় সম্প্রতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের বিশেষ উপদেষ্টার পদ হারিয়েছেন তিনি।
ববি হাজ্জাজের ঘণ্টাখানেক পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন ঢাকা উত্তরে জাতীয় পার্টি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল।