‘কোকোর মৃত্যুর দায় আওয়ামী লীগের’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবে হয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপিপন্থি পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক এমাজ উদ্দীন আহমেদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2015, 06:10 PM
Updated : 28 March 2015, 06:10 PM

শনিবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আরাফাত রহমান কোকোর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক উপাচার্য বলেন, “কোকোর মৃত্যু কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়, এর মধ্যে অস্বাভাবিকতা রয়েছে।”

“পরিবারের জ্যেষ্ঠরা যখন সরকারের অকথ্য নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে তখন এই ছোট্ট ছেলেটির হৃদয়ে আঘাত লাগে। তার হৃদয় ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। আর এটি সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যুর বুকে ঝুকে পড়ে এ ছোট্ট ছেলেটি।”

মুদ্রা পাচারের মামলায় ছয় বছর কারাদণ্ডের সাজা নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা অবস্থায় গত ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।

আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের আয়োজনে স্মরণ সভায় এমাজউদ্দীন  বলেন, “তার মৃত্যুতে একটি সম্ভাবনাময় জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে। রাজনীতির সাথে কোন সম্পর্ক না থাকলেও রাজনৈতিক কারণেই তার মৃত্যু হলো।”

অনুষ্ঠানে বিএনপির গণশিক্ষা সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়াও কোকোর মৃত্যুর জন্য সরকারকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন, “সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের জিতিয়ে আনতে পারলে এ কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।”

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, “অধিকার থাকার পরও সেনা কবরস্থানে কোকোকে দাফন করতে দেওয়া হয়নি। এখন তার নাবালক সন্তানদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।”

বিকাল ৩টায় শুরু হওয়া এ স্মরণ সভায় বিএনপির তৃণমুল ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের প্রায় জনা তিরিশেক নেতাকর্মী বক্তব্য রাখেন। আর স্মরণ সভায় অংশ নেন প্রায় একশ জনের মতো।

প্রধান বক্তা এমাজউদ্দীন সভাস্থলে পৌঁছান বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে।

শুরু থেকে বক্তব্য রাখা তৃণমুল দলের শাহবাগ থানার সভাপতি খলিলুর রহমান, ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান সুমন, সাবেক ছাত্রদল নেতা শরিফুল ইসলাম শাওন, সরকার নুরুজ্জামান, শফি মোহাম্মদ খান, বিএনপির মিরপুর থানা সভাপতি এম আব্দুল রাজ্জাক প্রমুখ।

তাদের বক্তব্যে কোকোর স্মরণকে ছাপিয়ে সরকারের সমালোচনাই উঠে এসেছে। কেউ কেউ চলমান আন্দোলন নিয়ে হতাশার কথাও বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল সাবেক ছাত্রদল নেতা সরকার নুরজ্জামান বলেন, “তিনি সারা জীবন পর্দার অন্তরালে থেকেছেন, তার সম্পর্কে আমরা তেমন কিছু জানি না।”

বিএনপি নেতা এইচ এম আলামিন খান বলেন, “ক্রিকেটের নব জাগরণ হয়েছে কোকোর হাত দিয়ে। সরকার মানসিক অত্যাচার করে কোকোকে হত্যা করেছে।”

স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি, বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বারের সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।