সময় হলে সন্ত্রাসে মদদের বিচার: নৌমন্ত্রী

সন্ত্রাসের মদদদাতাদের সময় হলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2015, 07:55 PM
Updated : 27 March 2015, 07:55 PM

শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম কমান্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে।

নৌমন্ত্রী বলেন, “যারা সন্ত্রাসে মদদ দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। মামলার বিচারও হবে। কেউ যদি মনে করেন আপনারা মানুষ মারবেন, আর বিচার হবে না, তাহলে এটি মনে করার কোন কারণ নেই। সব প্রস্তুত হচ্ছে। সময় মত বিচার কাজ শুরু হবে।”

বিএনপিপন্থি পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদকে উদ্দেশ করে নৌমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রাষ্ট্রের প্রকৃত ঘটনা তুলে না ধরে এক ধরনের অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন। তার মতো বিজ্ঞ মানুষের মুখে এ বক্তব্য লজ্জাজনক।

তিনি আরো বলেন, “তিনি বলেছেন গণতন্ত্র চুরি হয়ে গেছে, আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার নেই। প্রশ্ন হল তাহলে গণতন্ত্র কি সন্ত্রাসীদের জন্য? যারা সন্ত্রাস করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।”

“মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা মারছেন আর আপনারাই বলেছেন আপনাদের ওপর নিপীড়ন করা হচ্ছে, মানবাধিকার নেই। উনি এই কথা কেন বললেন না, পেট্রোল বোমাতেও মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে।”

সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সোহান সিরাজের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ খান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক মিয়া, দেশটিভির সিনিয়র বার্তা সম্পাদক খন্দকার আছাব মাহমুদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইসহাক খান প্রমুখ।

এর আগে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশনের জাতীয় সম্মেলনে শাজাহান খান খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনি ২১শে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে যাননি, ২৬ শে মার্চে স্মৃতিসৌধে গেলেন না। তাহলে কি পাকিস্তানে যেতে চান? অপেক্ষা করুন, বাংলার শ্রমজীবী মানুষ আপনাকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেবে।”

খালেদা জিয়াকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, হিটলার গেস্ট চেম্বারে বসে যেমন ভাবে মানুষ হত্যা করেছিলেন, তেমন ভাবেই বেগম জিয়া ঘরে বসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছেন।

সম্মেলনে শ্রমিকদের নুন্যতম বেতন দশ হাজার টাকা করার দাবি করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ৫ হাজার তিনশত টাকা, যা যথেষ্ট নয়। শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে দশ হাজার টাকা করতে হবে।

বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশনের সভাপতি আলম খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সলিডারিট সেন্টার বাংলাদেশ এর কান্টি ডিরেক্টর অ্যালেঞ্জ গ্ল্যান সুসান, অ্যাকর্ড এর নির্বাহী পরিচালক রবার্ট ওয়েজ, বাংলাদেশ পরিবহন হকার্স জোটের সভাপতি মো. আলী হাওলাদার প্রমুখ।