আবারও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন হাসিনা

বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ফিরে পেতে আবারও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2015, 05:41 PM
Updated : 27 March 2015, 05:41 PM

শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানের বাসায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমার স্বামী ১৭ দিন হলো নিখোঁজ। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবারো আবেদন জানাচ্ছি- যা হবার হয়েছে, আমি কিছুই জানতে চাই না। কেবল আমার স্বামীকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত চাই। আপনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিন- যাতে তারা আমার স্বামীকে আমার ছেলেমেয়ের কাছে ফেরত দেয়।” 

বিকেল ৫টার দিকে গুলশানের ৭২ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর প্লাটিনাম রেসিডেন্সে সালাহ উদ্দিনের ফ্ল্যাটে গিয়ে পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে যান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান ও সাবেক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একটি দল।

এ সময় অন্যদের মধ্যে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সানাউল্লাহ মিয়া, গোলাম মোস্তফা, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মহসিন মিয়া, ইকবাল হোসেন, খোরশেদ আলম, খোরশেদ মিয়া আলম প্রমুখ আইনজীবী নেতারা।

১০ মার্চ রাতে উত্তরার এক বাসা থেকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচির সালাহউদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে যায় বলে তার পরিবার অভিযোগ করে আসছে।

সাবেক সাংসদ হাসিনা আহমেদ বলেন, “আমার স্বামী ১৭ দিন যাবত কোথায় আছেন, কীভাবে আছেন- আমরা কোনো কিছুই জানি না। আমার ছেলেমেয়েরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, স্বামীকে খুঁজে বের করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সহযোগিতা তিনি পাচ্ছেন না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাক্ষাতের আবেদন করেও কোনো সাড়া পাননি বলে জানান হাসিনা আহমেদ।

অজ্ঞাত স্থানে থেকে টানা এক মাস বিবৃতি দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।

অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই সালাহ উদ্দিনকে নিয়ে গেছে দাবি করে

সালাহ উদ্দিনের সন্ধান পেতে সরকার প্রধানের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ইতোমধ্যে স্মারকলিপি দিয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা।

তিনি উচ্চ আদালতে রিট আবেদনও করেছেন। এ বিষয়ে আগামী ৮ এপ্রিল হাই কোর্টে আবার শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহ উদ্দিন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য হন এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার স্ত্রী হাসিনাও সংসদ সদস্য ছিলেন।