‘বৃহত্তর স্বার্থে’ দলের যে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী দুই প্রার্থীকে সামনে নিয়ে আসেন।
বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দক্ষিণে সাঈদ খোকন এবং উত্তরে আনিসুল হককে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। দলীয় সভানেত্রী তাদের সঙ্গে নেতাকর্মীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।”
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় এবং গণমাধ্যমের খবরে দলীয় প্রার্থী হিসাবে আনিসুল ও সাঈদ খোকনের নাম আসছিল। তবে শুক্রবার এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভিত্তি পেল।
হানিফ বলেন, “বৈঠকে দলীয় সমর্থিত প্রার্থীদের হয়ে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে যাতে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী চূড়ান্ত হয়, তাও মহানগর নেতাদের নিশ্চিত করতে বলেছেন।”
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আনিসুল হক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন দুজনেই ২৮ এপ্রিল ভোট সামনে রেখে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার পর দলের সমর্থন পাওয়ার কথা বলেছিলেন।
কিন্তু ঢাকা দক্ষিণে মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ সেলিমও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলে জ্যেষ্ঠ নেতাদের কথায় সমর্থন নিয়ে দ্বিধা স্পষ্ট হয়।
এরপর বুধবার গণভবনে এক বৈঠকের পর আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা নির্বাচনে সাঈদ খোকনকে জিতিয়ে আনতে নির্দেশ দিয়েছেন। মনোনয়ন জমা না দিয়ে ওই রাতেই চিকিৎসার কথা বলে ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন হাজি সেলিম।
আশরাফুল আলম খোকন জানান, গণতন্ত্র উন্নয়ন ও শান্তির লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াতের ‘নাশকতা, নৈরাজ্য এবং অব্যাহত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে’ও দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ আজ শান্তি চায়, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই।
গণভবনের দক্ষিণ লনে এই মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনার সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও শেখ সেলিম।
এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা এই মত বিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন।