ঢাকায় বিএনপির প্রার্থী ‘চূড়ান্ত হয়নি’

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে খালেদা জিয়া ইতিবাচক হলেও ঢাকায় প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপিপন্থি পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2015, 04:47 PM
Updated : 27 March 2015, 06:52 PM

শুক্রবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, “বেগম জিয়ার সঙ্গে আসন্ন সিটি নির্বাচনের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়েছে। ঢাকায় এখনও বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক।”

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীনের নেতৃত্বে পেশাজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গুলশান কার্যালয়ে যায়।

প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন- সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিএনপিপন্থি সাবেক সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাচ্চু ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার।

এর আগে বুধবার এমাজউদ্দিনের নেতৃত্বে বিএনপি সমর্থিত ‘শত নাগরিক কমিটির’ ব্যানারে পাঁচ সসদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিব উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন বলেন, “আমরা গত পরশু তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছিলাম। আমরা তার কাছে বলেছি- সিটি নির্বাচনের সব প্রার্থীর সমান সুযোগ দিতে একটি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য পরিবেশ তৈরি করা হোক। কিন্তু এখনও সেই পরিবেশ দৃশ্যমান হয়নি বলে আমাদের মনে হয়েছে।”

“আমরা সেই পরিবেশের অপেক্ষায় আছি। বেগম জিয়াও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ দেখতে চান। সেই অপেক্ষায় তিনিও চেয়ে আছেন।”

কী করলে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে আপনারা মনে করেন- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ধরুন, একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। আমরা চাই নির্বাচনকালীন সময়ে যেন কোনো প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা না হয়, গ্রেপ্তার করা হলে তাকে যেন জামিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এরকম পরিবেশ তৈরি করতে আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধও করেছি।”

প্রার্থীদের দলগত প্রচারণায়ও সমান সুযোগের কথাও তুলে ধরেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনজুর আলম মনোনয়ন নিয়েছেন, চট্টগ্রাম বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সমর্থনও দিয়েছে।

এছাড়া ঢাকায় উত্তরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। দক্ষিণে নিয়েছেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, সাবেক সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন ও কারাবন্দি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু।

এ ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপারসনের মনোভাব কী জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, “নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে প্রার্থী চূড়ান্তকরণে কোনো অসুবিধা বিএনপির হবে না। দল যাকে সমর্থন জানাবে, তার পক্ষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। আমরা পেশাজীবী এবং শত নাগরিক কমিটিও তাদের পক্ষে কাজ করবো।”

শেষ পর্যন্ত বিএনপি অংশ নেবে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। যদি জুলুম নির্যাতন করা হয়, তাহলে জনগণই জবাব দেবে।”