নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপির অবস্থানেরও সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।
শুক্রবার মাদারীপুরে কাজীরটেক এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর নির্মাণাধীন সপ্তম-চীন মৈত্রী সেতুর কাজের অগ্রগতি দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে গত ৫ জানুয়ারি থেকে হরতাল-অবরোধের মধ্যে কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনে থাকা বিএনপির সমালোচনায় তিনি বলেন, “বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ফাঁদ পেতে, নিজেরাই সেই ফাঁদে ফেঁসে গেছে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সব নির্বাচনকেই বলে ‘তামাশার নির্বাচন’। অথচ তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, জয়ও পায়।
“ইতোমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে তাদের প্রার্থীরা ফরম সংগ্রহ করেছে। যে নামেই হোক, তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আগে নয় সিটির নির্বাচনের মধ্যে সাতটিতে বিএনপি আর দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।”
ঢাকা ও চট্টগ্রামে এখন নির্বাচন দেওয়ার ‘উদ্দেশ্য’ নিয়ে বিএনপির সন্দেহ প্রকাশের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “নয় সিটি নির্বাচনে অফিসিয়ালভাবে আওয়ামী লীগ হারলেও নাগরিক সেবা নিশ্চত করতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচন দিয়েছে। নাগরিক সেবা দিতেই আমরা নির্বাচন দিচ্ছি।”
মন্ত্রী জানান, সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর অধিকাংশ কাজ শেষের পথে। জুনের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর উদ্বোধন করবেন।
জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফর উল্লাহ, পুলিশ ও সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।