আসন্ন নির্বাচনকে ‘তামাশার নির্বাচন’ আখ্যায়িত করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলুর বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় তাদের আন্দোলনকেই ‘তামাশার আন্দোলন’ বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।
স্বাধীনতা দিবসে বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন কাদের।
তিনি বলেন, “বিএনপির এ আন্দোলনকে আন্দোলন বলে না। দেশের মানুষের কাছে এটি তামাশার আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এ তামাশা ঢাকতেই তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে তামাশার নির্বাচন বলছে। তামাশার নির্বাচন বলে আবার তারা নির্বাচনে অংশও নিচ্ছে।”
তবে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ‘তামাশার নির্বাচন’ হবে না মন্তব্য করে এই মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ সরকার করছে না।
এই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় এর আগে অনুষ্ঠিত অন্য সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচনে অধিকাংশ মেয়র পদে বিএনপি নেতাদের বিজয়ী হওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি।
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে কাদের বলেন, “তিনি যৌক্তিক পরিণতি পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অযৌক্তিক আন্দোলন করে কখনও যৌক্তিক পরিণতিতে পৌঁছানো যায় না।”
সকালে টুঙ্গীপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুন সমাধিতে ফুল দেওয়ার পর দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক চৌধুরী এমদাদুল হক, গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম ভূঁইয়া, তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মো. ইকবাল, গোপালগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরণ রায়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব আলী খান, শেখ রুহুল আমীন, এস এম আক্কাস আলী, বদরুদ্দোজা বদর, শেখ মো. ইউসুফ আলী, শেখ আব্দুল হালিম, শেখ আবুল বশার খায়ের, সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র মো. ইলিয়াস হোসেনও ছিলেন সেখানে।