বৃহস্পতিবার সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য তোফায়েল।
খালেদা জিয়াকে নিয়ে তিনি বলেন, “তিনি এখন বিরোধী দলীয় নেত্রীও নন। বেগম খালেদা জিয়া শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসলেন না। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদেরও শ্রদ্ধা জানাতে যাননি।
“এই মহান স্বাধীনতা দিবসে অবরোধ কর্মসূচিও প্রত্যাহার করে নাই। তার বিচার জাতি করবে।”
স্বাধীনতার ৪৪তম বার্ষিকীতে ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান ও আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে সকাল ৮টার দিকে স্মৃতিসৌধে ফুল দেন দলের নেতাকর্মীরা।
গত ৫ জানুয়ারি সারা দেশে অবরোধের ডাক দেওয়ার পর গুলশানে নিজের কার্যালয়ে অবস্থানরত খালেদা জিয়া একুশে ফেব্রুয়ারিতেও শহীদ মিনারে যাননি। পরে তার কার্যালয়ে ভাষা শহীদদের আত্মার মাগরিফাত কামনা করে মিলাদ পড়ানো হয়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী সাধারণত একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার বিরোধিতা করে এই ধরনের কর্মসূচি পালন করে জানিয়ে সে সময় খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেছিলেন এক ভাষা সৈনিক।