মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান।
এ সময় স্পিকার শিরীর শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
মাগরিবের নামাজের বিরতির পর আলোচনায় অংশ নিয়ে হাজি সেলিম বলেন, “আমি চাই-পুরুষ নির্যাতনের বিষয়ে একটা আইন হোক। যাতে করে নারী নির্যাতনের মামলা হলে পুলিশ যেনে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের গ্রেপ্তার করে।”
বর্তমানে দেশে শুধু নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আইন থাকলেও সমাজে বহু পুরুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন জানিয়ে এই সাংসদ বলেন, “কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীও হয় ভয়ংকর।”
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় মিথ্যা অভিযোগের দায়ে দণ্ডের কথা উল্লেখ রয়েছে।
হাজি সেলিম বলেন, “আমি বহু আগে থেকে বিচার-সালিশ করি। স্বামী-স্ত্রীর বিচার করতে করতে আমি দেখেছি- ২০ বিচার এলে এরমধ্যে ১৫টি নারীর। ...স্বামীকে উচিত শিক্ষা দিতে গিয়ে তারা থানায় যায়; তা করতে গিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর, ননদ, ভাসুর সবাইকে নারী নির্যাতন মামলা দেয়। আর পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে হানা দেয়; সবাই বাড়ি ছাড়ে। ওই বাড়ি তছনছ হয়ে যায়।”
‘উচিত শিক্ষার’ নামে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে হয়রানি করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান এই স্বতন্ত্র সাংসদ।
বাংলাদেশে নারী নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে হাজি সেলিম বলেন, “তাই আমি চাই-পুরুষ নির্যাতনের বিষয়ে একটা আইন হোক। উন্নয়নে নারীদের পাশে পুরুষ থেকেছে। পুরুষের পাশে নারীরাও থাকুক।”
এই সাংসদের বক্তব্যের শুরুতে অনেকে টেবিল চাপড়ে তাকে সমর্থন দিলেও পরে কয়েকজন কিছুটা হৈ চৈ করেন।
পদ ছাড়ার ঘোষণা
এদিকে মেয়র পদে নির্বাচন করতে স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি সেলিম সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, প্রার্থী হতে সংসদ সদস্য পদ ছাড়তে হবে।
অনির্ধারিত আলোচনায় হাজি সেলিম বলেন, “প্রিয় সহকর্মী ভাইবোনেরা, হয়ত আমি দুয়েকদিন সংসদে আছি। সংসদ থেকে পদত্যাগ করে আমি সিটি নির্বাচন করবো।”
এরআগে আরেক স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীও আলোচনায় অংশ নেন।