ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে খোকনকে সমর্থনের কথা এরইমধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে পুরান ঢাকার সাংসদ হাজী সেলিমের দাবি, ‘ঢাকাইয়ারা’ তাকে মেয়র পদে প্রার্থী দেখতে চায়।
এর আগে গত বছর ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দলীয় প্রার্থী মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র তোলেন সাঈদ খোকন।
এ সময় সাংবাদিকদের কাছে সম্ভাব্য এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ করেন তিনি, যাতে মূলত হাজী সেলিমকেই ইঙ্গিত করা হয়।
এর ঘণ্টাখানেক পরে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে আসেন হাজী সেলিম।
খোকনের অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, “উনি যা বলতে পারেন আমি তো বলতে পারি না। আমি এমপি-এখন রাস্তায় দাঁড়ালে যদি আমার সাথে এক/দেড়শ লোক দাঁড়িয়ে যায় সে কি আমার দোষ?”
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণ ব্যাখ্যায় হাজী সেলিম বলেন, “ঢাকাবাসী, ঢাকাইয়ারা চায় আমি মেয়র পদে নির্বাচনে দাঁড়াই। তাই মনোনয়নপত্র নিলাম।”
আওয়ামী লীগ থেকে সাঈদ খোকনকে সমর্থন দেওয়ার পরেও তিনি প্রার্থী হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি আওয়ামী লীগের, আমি দলের মানুষ। দল এখনো যাচাই-বাছাই করছে।
“আমার বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত দল আমাকেই সমর্থন করবে।”
এছাড়া এখনো যাদের ব্যানার-পোস্টার তুলে ফেলা হয়নি এমন ২৬ জন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার পাঠানো ওই নোটিশে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মিহির সারওয়ার।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট হবে। আগ্রহীরা মনোয়নপত্র জমা দিতে পারবেন ২৯ মার্চ পর্যন্ত; যা যাচাই-বাছাই হবে ১ ও ২ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ থাকছে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত।