বুধবার কেরিকে পাঠানো ১১ জন কংগ্রেস সদস্যের ওই চিঠিতে বলা হয়, সহিংসতা কখন রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভায় বাংলাদেশ ককাসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জোসেফ ক্রাউলির সঙ্গে এই চিঠি পাঠিয়েছেন জোসেফ ক্রাউলি, পিটার কিং, মাইক হোন্ডা, এলিয়ট এঞ্জেল, গ্রেস মেং, স্টিভ চ্যাবট, জেমস পি ম্যাকগভার্ন, হোযে সেরানো, জেরাল্ড ই কনোলি, আর্ল ব্লামেনূর ও উইলিয়াম আর কিটিং।
গত দুই মাস ধরে বিএনপি জোটের অবরোধ-হরতালে সহিংসতায় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সদস্য কেরিকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানাল।
বাংলাদেশে অবরোধে-হরতালে নাশকতার জন্য কর্মসূচি আহ্বানকারী বিএনপি-জামায়াত জোটকে দায়ী করে আসছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার।
বুধবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা সহিংসতা বন্ধ করতে বলেন। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূর করতে আলোচনার ওপর জোর দেন তারা।
ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দলের এই ১১ জন সংসদ সদস্য চিঠিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার ওপর দিয়ে লিখেছেন, যতটা অগ্রগতি সাধনে বাংলাদেশ সক্ষম হয়েছে, চলমান সহিংসতার কারণে তা ব্যাহত হতে পারে।
“বাংলাদেশের মতো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে সহিংসতাকে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যে কারণে দ্বিমত রয়েছে তা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রকাশ ঘটানো যেতে পারে।”
একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে তাদের কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণভাবে চালাতে পারে, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে সেদিকেও খেয়াল রাখার প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে তারা।
এ ধরনের পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব না হলে সরকারকেও প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে, বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যরা।