জাতীয় পতাকার ‘অবমাননার’ জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও সংসদে করেছেন তিনি।
বুধবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত এক আলোচনায় শামীম ওসমান বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা তার (খালেদা) বাসায় গিয়েছিলেন। টেলিভিশনে দেখলাম তার পেছনে জাতীয় পতাকা।
“তিনি কোন ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (রাষ্ট্রীয় পদ মর্যাদাক্রম) অনুযায়ী জাতীয় পতাকা ব্যবহার করছেন? উনি এটা লাগাতে পারেন না। বিদেশিদের সামনে যেভাবে তিনি জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন, তার জন্য উনার শাস্তি দাবি করছি।”
শামীম ওসমান এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের ব্যাখ্যাও দাবি করেন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর গাড়িতে পতাকা ব্যবহার নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জবাব দাবি করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী।
একটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পতাকা গাড়িতে লাগাতে পারেন না। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত আছে। তার চেয়েও বড় কথা ফ্ল্যাগ রুলস-১৯৭২ আছে।
“মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশ অমান্য করে পতাকা ব্যবহারের সাহস তাকে কে দিয়েছে? জাতীয় পতাকার মর্যাদা নষ্ট করা ঠিক হবে না।”
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদের পাশাপাশি এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নির্দেশনাও দাবি করেন তিনি।