গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন খালেদার

সোয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির দুই মামলায় জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যিনি বুধবার মামলার শুনানির তারিখে যাবেন না বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2015, 07:33 AM
Updated : 4 March 2015, 03:19 AM

খালেদার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের কাছে এ আবেদন করেন।

টানা কয়েকটি ধার্য তারিখে হাজির না হওয়ায় এ আদালতই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের মূল ভবনে বুধবার দুপুরে পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদনের শুনানি হবে বলে সানাউল্লাহ মিয়া জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামীকাল আদালতে যে যাবেন তার নিরাপত্তা নেই। আমরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। তাছাড়া এ দুটি মামলার বিষয়ে আমাদের কয়েকটি আবেদন উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।

খালেদার বিরুদ্ধে এ দুই মামলায় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খালেদার পক্ষে কি আবেদন করা হয়েছে তার কপি নিয়ম অনুযায়ী আমার কাছেও আসার কথা। তবে আমাকে কিছু জানানো হয়নি, আমি কিছুই জানি না।”

এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আরজি নিয়ে মঙ্গলবার তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।

“আমরা হাই কোর্টে আবেদন করব। আমরা আশাবাদী, এ ব্যাপারে আদালতের কাছে সুবিচার পাব।”

বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা আইনি প্রক্রিয়ায় পুরো বিষয়টি মোকাবেলা করতে চান।

এতিমখানা ও দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা বুধবার ধার্য দিনে আদালতে যাবেন কি না জানতে চাইলে তার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “বেগম জিয়া সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ বিষয়ে বেগম জিয়া এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। আইনজীবীরা বিষয়টি দেখছেন।”

খালেদা জিয়া এই দুই মামলায় সর্বশেষ গত ২৪ ডিসেম্বর হাজিরা দিয়েছিলেন পুরান ঢাকার বকসীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত আদালতের বিশেষ এজলাসে।

সেদিন তার হাজিরাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ব্যাপক হট্টগোল হয়েছিল। বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাতের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলা হয়েছিল সেদিন।

দুই মাস ধরে কার্যালয়ে অবস্থানরত খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি বেশ আলোচিত। এর মধ্যে হরতাল-অবরোধে নাশকতার একটি মামলায় তার কার্যালয় তল্লাশির অনুমতিও রোববার পেয়েছে পুলিশ।   

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি চেয়ারপারসনকে আদালতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

তবে গত ৩ জানুয়ারি পুলিশের বাধায় আটকে পড়ার পর এক মুহূর্তের জন্যও গুলশানের ওই কার্যালয় থেকে বের হননি খালেদা।