মান্নাকে ‘ফেরত’ চেয়ে বিএনপির নামে বিবৃতি

সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে টেলি-কথোপকথন ফাঁসের পর আলোচনার মধ্যে মাহমুদুর রহমান মান্নার অন্তর্ধানে সরকারের হাত রয়েছে দাবি করে তাকে ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির নামে একটি বিবৃতি এসেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2015, 12:43 PM
Updated : 24 Feb 2015, 12:47 PM

অজ্ঞাত স্থানে থাকা বিএনপির যুগ্মমহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদের পাঠানো ওই বিবৃতিতে ভবিষ্যতে সরকারকে ‘এই জাতীয় ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড’ থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানানো হয়।

দুটি অডিও ক্লিপ ফাঁসের পর আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার ভোররাতে রাজধানীর বনানীতে ভাইয়ের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নাকে।

পুলিশ তাকে আটকের কথা নাকচ করেছে। সন্ধান চেয়ে মান্নার পরিবার সাধারণ ডায়েরি করার পর পুলিশ বলেছে, তারা নাগরিক ঐক্যের নেতাকে খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন।

মান্নার কথোপকথনের দুটি অডিও ক্লিপ রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে আসে, যার ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

এসব ক্লিপে মান্নাকে চলমান পরিস্থিতিতে সেনা হস্তক্ষেপের উদ্যোগে আগ্রহ প্রকাশ করতে শোনা যায়। পাশাপাশি বিএনপি জোটের আন্দোলন জোরদারে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার কথাও বলতে শোনা যায় তাকে।

এর ভিত্তিতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নাকে গ্রেপ্তারের দাবিও উঠেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখ থেকে।

মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির প্যাডে পাঠানো সালাহ উদ্দিনের বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বরেণ্য নাগরিক, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমানকে সাদা পোশাকধারী সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর

সদস্যরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই তুলে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি – এ মর্মে বক্তব্য প্রদান করায় আমরা বিস্মিত হয়েছি।

“যে প্রক্রিয়ায় দেশের এই পর্যায়ের একজন নাগরিককে তুলে নেয়া হল, তাতে রাষ্ট্রের কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও বেঁচে থাকার অধিকারের কোনো গ্যারান্টি অবশিষ্ট রইল না। আমরা অবিলম্বে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত প্রদান ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযখ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

ওই অডিও টেপে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে কথোপকথনে মান্নাকে তার কর্মসূচিতে কর্মী সরবরাহ করতে পরামর্শ দিতে বলতে শোনা যায়। এছাড়া বিএনপির চলমান অবরোধ অব্যাহত রাখতেও পরামর্শ দেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, মান্না বিএনপির সঙ্গে যোগসাজশ করে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ষড়যন্ত্র করছিলেন।