মান্নাকে দেখামাত্র ধোলাই: ছাত্রলীগ

সরকার উৎখাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দুই-তিনটা লাশ ফেলে দেওয়ার’ কথা বলায় মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দেখামাত্র গণধোলাই দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2015, 12:17 PM
Updated : 23 Feb 2015, 12:56 PM

সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।

জাতীয় সংলাপের অন্যতম উদ্যোক্তা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানরত বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির কথোপকথনের অডিও ক্লিপের ভিত্তিতে রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এর মধ্যে খোকার সঙ্গে আলাপে এক সময়কার ডাকসুর ভিপি ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মান্নাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা বলতে শোনা যায়। আর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথনে সেনা হস্তক্ষেপে ভূমিকা রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

সমাবেশে নাজমুল বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মান্নাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো এবং পর থেকে মান্নাকে কোথাও দেখা গেলে গণধোলাই দেওয়া হবে।

মান্নার উদ্দেশে ছাত্রলীগ সম্পাদক, “আপনি যে দুঃস্বপ্ন দেখছেন, ঢাকা বিশবিদ্যালয়ে লাশের রাজনীতি করে ক্ষমতায় আসতে চান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলো ভিমরুলের চাক। কোনো কিছু হলে আপনি হাজার ফুট মাটির নিচে গেলেও বের করে আনবে আপনাকে।”

খোকার সঙ্গে ফাঁস হওয়া ওই কথোপকথনের এক পর্যায়ে মান্নাকে বলেতে শোনা যায়, “ধরেন, ইউনিভার্সিটিতে একটা মিছিল হলো। ধরেন, যা মারামারি বাইরে হচ্ছে … ইউনিভার্সিটিতে মারামারিতে গেল দুই-তিনটা। কি আর করা যাবে? কিন্তু হল…আপনারা গভর্নমেন্টকে শেইক করে ফেললেন।”

সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, “দেশে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে মান্না একজন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লাশ ফেলার কথা বলার মধ্যে দিয়ে তার ষড়যন্ত্রের মুখোশ এখন সবার কাছে উম্মোচিত হয়েছে।

মান্নাকে ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী’ আখ্যা দিয়ে তাকে রুখে দেওয়ার দেওয়ার ঘোষণা তিনি।

সমাবেশের আগে মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে অপরাজেয় বাংলায় শেষ হয়।

হরতাল ও অবরোধ ডেকে বিএনপি-জামায়াতের পেট্রোল বোমা হামলায় নৃশংসবাবে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত, হাসানুজ্জামান তারেক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্ল্যা ও সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ।