মান্নার গণমিছিল স্থগিত

টেলিফোন কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর দৃশ্যত বেকায়দায় থাকা মাহমুদুর রহমান মান্নার সংগঠন নাগরিক ঐক্যের গণমিছিল কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2015, 10:58 AM
Updated : 23 Feb 2015, 04:50 PM

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইফতেখার আহমেদ বাবু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আজ আর হচ্ছে না; পরে আপনাদের জানাব।”

‘শান্তি ও সংলাপের দাবিতে’ সোমবার বিকাল ৩টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই জমায়েত ও গণমিছিলের কর্মসূচি ছিল। আর তাতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের।

কিন্তু ওই সময়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে সেগুনবাগিচায় নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেলে বলা হয়, “মান্না ভাই নেই, উনি অসুস্থ।”

পরে ইফতেখার আহমেদ বাবু কর্মসূচি স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রেসক্লাবের সামনে দায়িত্‌রত পুলিশ সদস্যরা জানান, বিকাল ৩টার আগে নাগরিক ঐক্যের হাতে গোণা কয়েকজন কর্মী ওই এলাকায় গেলেও অল্প সময় পরে তারা ফিরে যান।  

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় সংলাপের অন্যতম উদ্যোক্তা মান্নার সঙ্গে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির কথোপকথনের অডিও ক্লিপের ভিত্তিতে রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এর মধ্যে খোকার সঙ্গে আলাপে বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা বলতে শোনা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি মান্নাকে। আর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথনে সেনা হস্তক্ষেপে ভূমিকা রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক।

প্রতিবেদন প্রকাশের পর মান্নার কথোপকথন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। আর তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। 

মান্নাকে সতর্ক করে দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ সোমবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সহিংসতাকারীদের সঙ্গে’ যারা পরামর্শ করছে, জনগণ তাদের চিহ্নিত করে রাখছে।

আর অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মান্নাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। এরপর থেকে তাকে কোথাও দেখা গেলে গণধোলাই দেওয়া হবে ।”