খালেদার কার্যালয়ে বিদ্যুৎ ফিরেছে

প্রায় ২০ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরেছে বিএনপি চেয়ারপাসনের কার্যালয়ে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের এই ঘটনাটিকে সরকারের ‘নিকৃষ্ট নিষ্ঠুরতা’ বলেছিলেন খালেদা জিয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2015, 04:28 PM
Updated : 31 Jan 2015, 05:14 PM

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় বিদ্যুৎ ফেরে ওই কার্যালয়ে, যেখানে ২৮ দিন ধরে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

রাত সাড়ে ১০টার কিছু সময় আগে ডেসকোর ছয়জন কর্মী এসে পিলার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু করেন।

তাদের একজন সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের এই লাইনটি মেরামত করতে বলা হয়েছে। আমরা তা করে গেলাম।”

এর বাইরে তারা কোনো কথা বলতে রাজি হননি। নিজেদের নাম কিংবা পদবি বলতেও রাজি হননি ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার এই কর্মীরা।

তাদের কয়েক মিনিটের কাজে রাত সাড়ে ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় আবার আলোকিত হয়, যা রাত ৮টার পর থেকে ছিল অন্ধকার।

ভোররাত আড়াইটার দিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর জেনারেটর দিয়ে ওই কার্যালয়ে কাজ চললেও তা বন্ধ করে দেওয়া হয় রাত ৮টার দিকে। তারপর থেকে মোমবাতি জ্বলছিল সেখানে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার রাজনৈতিক এই কার্যালয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের বিষয়ে সরকারি কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি।

তবে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান শুক্রবার এক সমাবেশে বক্তব্যে অবরোধ আহ্বানকারী খালেদার কার্যালয়ের গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। শনিবার তিনি খাবার সরবরাহ বন্ধের হুমকিও দেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোররাতে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করেই তাদের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়ে যায়।

এরপর কেবল টিভি সংযোগ লাইন এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি শনিবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কার্যালয়ের ভিতরে যে টেলিভিশন আছে, তাতে ডিস লাইন পাওয়া যাচ্ছে না। আমার কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগও পাচ্ছি না।”

এর প্রতিক্রিয়ায় খালেদা বলেছেন, “বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ সব ইউটিলিটি সেবা বন্ধ করে দেওয়া একটা নজিরবিহীন ব্যাপার ও শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ। কোনো সভ্য সরকার এরকম আচরণ করতে পারে না। সভ্য জগতে এটা কল্পনাতীত।”

অন্ধকার ওই কার্যালয়ের বাইরে পুলিশের অবস্থানের মধ্যেই রাত সোয়া ৯টার দিকে কাছাকাছি তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে।

ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়কের ওই বাড়িতে গত ৩ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া।

বিএনপির সাবেক এক সংসদ সদস্যের পরিবারের মালিকানাধীন বাড়িটি বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

এখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় লাগাতার অবরোধের ঘোষণা দেওয়ার পর দুই সপ্তাহ আগে পুলিশ ওই বাড়ির সামনে থেকে সব ধরনের ব্যারিকেড সরিয়ে নিলেও সেখানেই থাকছেন খালেদা জিয়া।