শুক্রবার রাত ৭টার দিকে গুলশানের কার্যালয়ে দোতলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় গণফোরাম ও নাগরিক ঐক্যের নেতারও ছিলেন।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়েছে ড. কামালের। তবে ১৯৯১ সালের পর তাদের দুজনের মধ্যে এটাই প্রথম সাক্ষাৎ।
২২ মিনিটব্যাপী সাক্ষাৎ শেষে ড. কামাল বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসনকে আমরা শোক জানাতে এসেছি। তিনি পুত্র হারিয়েছেন, তাকে সমবেদনা জানাতেই আমাদের এখানে আসা।
“শোক জানানো ছাড়া কোনো রাজনৈতিক আলাপ আমাদের মধ্যে হয়নি।”
এক প্রশ্নের জবাবে গণফোরাম সভাপতি বলেন, “দেশে একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসুক, সেই চেষ্টা আমরা সকলে মিলে করে যাচ্ছি। আমার দল গণফোরাম, মান্নার নাগরিক ঐক্যসহ অনেকে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে কাজ করছেন।”
এই বিষয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে আলাপ হয়নি। তিনি (খালেদা জিয়া) শোকাহত, আমরা মূলতঃ তাকে সহমর্মিতা জানাতে এসেছি।”
সাক্ষাতে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওম শফিকুল্লাহ, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্নাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ড. কামাল হোসেনসহ নেতারা নিচতলায় প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর শোক বইতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস কাদের চৌধুরী, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির সদস্য শ্যামা ওবায়েদ, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ও সামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।