সরকারের ধৈর্যের সীমা আছে: সুরঞ্জিত

বিএনপি নেত্রীকে ‘সহিংস আন্দোলন’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সরকারেরও ধৈর্যের সীমা আছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2015, 10:03 AM
Updated : 30 Jan 2015, 02:16 PM

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুই দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

“তা না হলে ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে সরকার সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। মনে রাখবেন, সরকারেরও ধৈর্যের সীমা আছে।”

নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগাম নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির এই আন্দোলনকে সুরঞ্জিত আখ্যায়িত করেন ‘অগণতান্ত্রিক ও সহিংস আন্দোলন’ হিসাবে।

অবরোধের গত ২৪ দিনে সারা দেশে সহিংসতা ও নাশকতায় কয়েক ডজন লোকের মৃত্যুর জন্য ক্ষমতাসীনরা বিএনপি জোটের নেত্রী খালেদা জিয়াকে দায়ী করে তাকে আখ্যায়িত করছেন ‘সন্ত্রাসের নেত্রী’ হিসাবে। বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তাকে হুকুমের আসামি করে মামলাও হয়েছে।   

অন্যদিকে বিএনপি নেতারা অবরোধের মধ্যে নাশকতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলে আসছেন, সরকারের লোকেরাই এসব ঘটনা ঘটিয়ে ২০ দলের কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। 

খালেদা জিয়াকে ‘নাশকতা বন্ধের’ আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, “না হলে সহিংসতা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ছাড়াও বিকল্প অনেক মাধ্যম আছে, যা এখনো ছোঁয়াও হয়নি। কতদিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য দেখাবেন- তা সময়ই বলে দেবে।”

এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রে কেউ সহিংসতা করে সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায় করতে পারেনি, খালেদা জিয়াও পারবেন না।

“নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার অধিকার আপনার আছে। তাই বলে নাশকতা করার অধিকার নেই। কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করে সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায় কার যাবে না।”

নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘চলমান রাজনীতি’ নিয়ে এই আলোচনার আয়োজন করে।