জানাজার নামে ষড়যন্ত্র হলে দায় খালেদার: মায়া

প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জানাজা নিয়ে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করে বাস্তবে তা ঘটলে দায় খালেদা জিয়াকেই নিতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2015, 03:24 PM
Updated : 26 Jan 2015, 03:24 PM

সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে জাসদ কার্যালয়ের সামনে মহানগর ১৪ দলের সমাবেশে হুঁশিয়ারি দেন তিনি ।

কোকোর লাশ নিয়ে ষড়যন্ত্র হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মায়া বলেন, “আমরা জানাজায় যাব, জানাজার নামে কোনো ষড়যন্ত্র হলে দায়-দায়িত্ব আপনাকেই (খালেদা জিয়া) নিতে হবে। লাশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না।”

মুদ্রা পাচারের মামলায় ছয় বছর কারাদণ্ডের সাজা নিয়ে শনিবার মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৪৫ বছর বয়সী। মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছার পর গুলশানের কার্যালয়ে নেওয়া হবে। কোকোর মা খালেদা জিয়া সেখানেই রয়েছেন। এর পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তার জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে।

মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক মায়া ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

ইনু বলেন, অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও নৈরাজ্য বন্ধ না করলে খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।

টেলিভিশন টকশোতে সরকারের প্রতি সমঝোতার আহ্বান জানানোর ভাষ্যকারদের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা আগে খালেদার বাড়ি গিয়ে তাকে পরামর্শ দেন, এই জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করার জন্য। তার পর আমাদের সাথে কথা বলতে আসুন।

“গত একশত বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি, যা ২১ দিনে ঘটেছে। বাংলাদেশের মানুষের কছে আমার প্রশ্ন, এ ধরনের জ্বালাও-পোড়াও, নৈরাজ্য, মানুষ পোড়ানোর কছে বাংলার মানুষ মাথা নত করবে কিনা?

“আমি যখন খালেদার দিকে তাকাই তখন পাকিস্তানিদের চেহারা আমার চোখে ভেসে উঠে; জঙ্গিদের কথা মনে পরে। আর তার সাথে আপস হলে মানবতাকে বিসর্জন দিতে হবে।”

রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা না করে তালা বন্ধ রেখে আলোচনার দরজা চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছেন খালেদা জিয়া।

ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসেন আম্বিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।