তিনি বলেছেন, “বিএনপির কাছে আর আশা করার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করে খালেদা জিয়া নিজেকে সন্ত্রাসের রানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কাজেই অপাত্রে ঘি ঢেলে লাভ নেই। যা করার তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই করতে হবে।”
সোমবার ঢাকায় চলমান রাজনীতি নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এই আওয়ামী লীগ নেতার মতে, বিএনপির রাজনীতিতে ‘তিনটি বড় ভুল’ করেছে, যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা না করাটা ‘তৃতীয় বড় ভুল’।
“নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে খালেদা জিয়াকে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন। নির্দলীয় সরকার না হলেও সর্বদলীয় সরকার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর সেই ডাকে সাড়া দেননি। এছাড়া সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী নিয়ে আলোচনার আহ্বানও বিএনপি শোনেনি।”
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় মারা যান। মুদ্রা পাচারের মামলায় ছয় বছর কারাদণ্ডের সাজা নিয়ে তিনি সেখানে পালিয়ে ছিলেন।
কোকোর মৃত্যুর খবর আসার পর তার মা খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে শনিবার রাতে তার গুলশানের কার্যালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ফটক না খোলায় তাকে সেখান থেকেই ফিরে যেতে হয়, যা নিয়ে গত দুদিন ধরে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা চলেছে।
ওই সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের ফটকে তালা দেওয়ার বিষয়টি ‘বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সিদ্ধান্তে’ হয়নি মন্তব্য করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “বিএনপির রাজনীতি নেতাদের দিয়ে নয়, দলীয় কর্মচারীদের দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। শিমুল পলাশ টলাশ দিয়ে রাজনীতি হয় না। এরা তো দলের কেউ নয়।”
বিএনপি যে ‘আলোচনার বদলে সহিংসতার পথ’ বেছে নিয়েছে, সুশীল সমাজসহ দেশের সব ‘সুস্থ, স্বাভাবিক নিরপেক্ষ চিন্তার’ মানুষের কাছে এটি এখন ‘দিবালোকের মত স্পষ্ট’ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
“সকল বিভ্রান্তি ও সংকটের সমাধান পরশু খালেদা জিয়া নিজেই করে দিয়েছেন। আলোচনার ফটক তারা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছেন। এমন কি তাতে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।”
হরতাল অবরোধ তুলে নেওয়া ছাড়া বিএনপির সামনে আর পথ নেই মন্তব্য করে এ কর্মসূচি প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানিয়েছেন সুরঞ্জিত।