কোকোর জানাজা বায়তুল মোকাররমে, দাফন বনানীতে

নয়া পল্টনে নয়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জানাজা শেষে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2015, 09:42 AM
Updated : 26 Jan 2015, 01:54 PM

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মঙ্গলবার আসরের পর বায়তুল মোকাররমে জানাজা পড়িয়ে বনানীতে দাফন করা হবে।

বিএনপি এর আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল, মঙ্গলবার সকালে কোকোর মরদেহ ঢাকায় আনার পর বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জানাজা হবে। এছাড়া বুধবার সারাদেশে গায়েবানা জানাজা হওয়ার কথা ছিল। 

এই সূচিতে পরিবর্তন আনার কথা জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবারের পরিবর্তে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার বাইরে গায়েবানা জানাজা হবে। সারাদেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের এই জানাজায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতা রিজভী।

কোকোর মৃত্যুতে সোমবার থেকে তিন দিনের শোক পালন করছে বিএনপি। সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলনের দলীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে। পাশাপাশি নেতা-কর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন।

মুদ্রা পাচারের মামলায় ছয় বছর কারাদণ্ডের সাজা নিয়ে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে থাকা আরাফাত রহমান কোকো শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। তার বয়স হয়েছিলো ৪৫ বছর।

বিএনপি নেতারা জানান, মঙ্গলবার সকালে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় পৌঁছাবে। সেখান থেকে মরদেহ নেওয়া হবে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে। গত ৩ জানুয়ারি থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন কোকোর মা খালেদা জিয়া।

মালয়েশিয়া বিএনপির নেতা মাহবুব আলম শাহ টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে সকালে কোকোর কফিন দেশে নেওয়া হবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গুলশানের কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য কফিন রাখা হবে তিন ঘণ্টা। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বায়তুল মোকাররমে। সেখানে আসরের পর জানাজা শেষে দাফনের জন্য কফিন নিয়ে যাওয়া হবে বনানী সামরিক কবরস্থানে।

বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার আরাফাত ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তখনকার কর্তৃপক্ষের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।

এরপর মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় ২০১১ সালে ২৩ জুন কোকোকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত; সেই সঙ্গে তাকে ১৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। তবে বিএনপির দাবি, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।