খালেদা ঘুমে, সত্য মনে হয়নি রফিকের

ছেলের মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখার বক্তব্যে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2015, 05:12 PM
Updated : 25 Jan 2015, 05:12 PM

ওই সময়ে খালেদার কার্যালয়ে থাকা এই প্রবীণ আইনজীবী বলেছেন, খালেদাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখার যে দাবি করা হয়েছে তা তার কাছে সত্য মনে হয়নি। 

রোববার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যখন সেখানে গেলেন তখন তাকে বলা হলো শোকে মুহ্যমান খালেদা জিয়া এখন দেখা করতে পারবেন না। তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। আমি সেখানে ছিলাম। আমার কাছে এটি সত্য মনে হয়নি। বাট এনিওয়ে তাকে এ কথা বলা হয়েছে।”

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তরের কাছেও প্রায় একই মন্তব্য দেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর খালেদাকে সান্ত্বনা জানাতে রাতে তার গুলশানের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা গিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের ফটক বন্ধ থাকায় ঢুকতে পারেননি। তার সঙ্গে দেখাও করতে আসেননি বিএনপির কোনো নেতা। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তিনি ফিরে আসেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে রওনা হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে তখন ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অবস্থায় নেই।

ব্যারিস্টার রফিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দেখা করতে গেছেন। এক মা আরেক মা কে সান্ত্বনা দিতে গেছেন। যদি তিনি অসুস্থ হন তাহলেও তো দুজনই মা। কোন ছেলে তো সেখানে যায়নি। এক মা শুয়ে থাকলে আরেক মা তো তার মাথায় হাত বুলাতে পারতেন।”

তিনি বলেন, “কিন্তু তাকে (হাসিনা) ঢুকতেই দেওয়া হলো না। এটা ভালো হয়নি, খুব খারাপ হয়েছে।”

চলমান সংলাপের যে কথা বলা হচ্ছে তাতে এর কোন প্রভাব পড়তে পারে কিনা জানতে চাইলে এই প্রবীণ আইনজীবী বলেন, “অবশ্যই প্রভাব পড়বে। আশা করেছিলাম এ সুযোগে সংলাপ হবে। কিন্তু আসলে সেটা হলো না। তবে এখনো আশাবাদী একদিন না একদিন সংলাপ হবেই।”

এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদও বলেছেন, খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাযথ সৌজন্য পাননি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বদরুদ্দোজা চৌধুরীও এ ঘটনার সমালোচনা করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়া খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে তালা দিয়ে তাকে বেরোতে না দেওয়ার ‘সমান অপরাধ’ বলে তিনি মনে করেন।

</div>  </p>