প্রধানমন্ত্রীর আসা ‘ছলনা’: রিজভী

সন্তানহারা খালেদা জিয়াকে সান্ত্বনা জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যাওয়াকে ‘ছলনা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2015, 02:50 PM
Updated : 25 Jan 2015, 02:50 PM

রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, তারা প্রধানমন্ত্রীর যাওয়াকে ইতিবাচকভাবে নিলেও এরপরই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার খবর পেয়ে ‘প্রহসন’ বুঝতে পারেন তারা।

শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর খালেদাকে সান্ত্বনা জানাতে রাতে তার গুলশানের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে লাগাতার অবরোধ আহ্বানকারী খালেদা গুলশানের এই কার্যালয়ে রয়েছেন। মালয়েশিয়া থাকা ছেলের মৃত্যুর খবর সেখানে বসেই পান তিনি।

শেখ হাসিনা গিয়ে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের ফটক বন্ধ থাকায় ঢুকতে পারেননি। তার সঙ্গে দেখাও করতে আসেননি বিএনপির কোনো নেতা। 

এনিয়ে সমালোচনার মধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে তখন ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। তবে খালেদা জিয়া জেগে খবর শুনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

রিজভী বলেন, “রাজনীতির বাইরে সামাজিক দায়িত্বরোধের তাগিদেই প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা জানাতে আসছেন বলে আমরা ধরে নিয়েছিলাম।

“কিন্তু বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনা সুস্পষ্ট যে, শনিবার কোকোর মৃত্যুর সংবাদে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতি জানাতে আসাটা ছিল নিছক ছলনা, একটি প্রহসনের মহড়া মাত্র। কোকোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা জানানোটা যেন কুমিরের কান্না।”

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে নির্যাতনের পর থেকে অসুস্থ আরাফাত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে আরও মামলার পর মানসিক ভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে রিজভী দাবি করেন।

বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার আরাফাত ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই তখনকার কর্তৃপক্ষের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান। সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান।

এরপর মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় ২০১১ সালে ২৩ জুন আরাফাতকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত; সেই‌ সঙ্গে তাকে ১৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

রিজভী বলেন, “বর্তমান সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করতে থাকে কোকোর বিরুদ্ধে। মায়ের কাছ থেকে সন্তান ও সন্তানের পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ফলে অসুস্থতায় ভুগতে ভুগতে শনিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আরাফাত রহমান কোকো।”