শনিবার রাতে এসআই আশরাফুজ্জামান বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় এ মামলা দায়ের করেন যেখানে বিএনপি-জামায়াতের আরও ৮৪ জনকে আসামি করা হয়।
মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা অবরোধের মধ্যে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মতিহার থানার কাপাশিয়া এলাকায় আইনশৃংখলা বাহিনীর পাহারার মধ্যে ঢাকাগামী গাড়িবহরে হামলা হয়।
এ সময় পেট্রোল বোমা ছুড়ে রূপসী বাংলা নাইট কোচ ও একটি মাছবাহী ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অবরোধকারী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হলো।
এ নিয়ে অবরোধ-হরতালের তিনটি মামলায় মিনু ও বুলবুল আসামি হলেন।
এর আগে ২২ জানুয়ারি দুপুরে নগরীর কাদিরগঞ্জ ও ১৯ জানুয়ারি গভীর রাতে ভদ্রা এলাকায় গাড়িবহরে বোমা হামলার অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলার একটিতে শুধু বুলবুল এবং অপরটিতে মিনু ও বুলবুলকে হুকুমের আসামি করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আলমগীর বলেন, সর্বশেষ শনিবার করা মামলায় রাজশাহী কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি সারোয়ার আলম সিদ্দিকী জোহাকে প্রধান আসামি করে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়।
"মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী সিটি মেয়র ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।"
তাদের নির্দেশেই বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা ঢাকাগামী ওই গাড়িবহরে হামলা এবং পেট্রোল বোমা ছোড়ে বাস-ট্রাক পুড়িয়ে দেয় বলে দাবি করেন ওসি আলমগীর।
গত ১১ জানুয়ারি রাতে মিনুর বাড়িতে পুলিশের তল্লাশির পর থেকে পালিয়ে রয়েছেন তিনি। আগের দিন রাজশাহীতে বিএনপির এক সমাবেশ থেকে অবরোধে ঢাকায় পণ্য পরিবহন যে কোনোভাবে আটকে দিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।
এছাড়া ১৯ জানুয়ারি মামলা হওয়ার পর থেকে গা ঢাকা দেন মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
এরইমধ্যে তাদের গ্রেপ্তারে কয়েকদিনে তাদের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।