রোববার বিএনপির আরব আমিরাতের আবুধাবী মোচ্ছাফা শাখার একটি প্রতিনিধি দল তার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আরব আমিরাতে বাংলাদেশের শ্রম বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করেন আবদুল্লাহ আল নোমান।
এসময় নোমান বলেন, “যে মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের প্রধান উৎস ছিল শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র নীতির কারণে সেটা আজ শেষ হয়ে গেছে।”
মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের তরুণদের ভাগ্য অন্বেষনের পথ রুদ্ধ করলেও সরকার ডেসটিনি, হলমার্ক, শেয়ার বাজারের মাধ্যমে লুটপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
”গায়ের জোরে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্র ও পররাষ্ট্রনীতিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার,” বলেন নোমান।
তিনি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখতে পারেনি সরকার। তাই একে একে শ্রমবাজারে ধ্স নেমেছে। ফলে দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে আছে প্রবাসীসহ মধ্যপ্রাচ্যে গমোনেচ্ছুক তরুণরা।”
সভা-সমাবেশ করার ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশ ও র্যাব দিয়ে হরণ করা হচ্ছে বলে তিনি এসময় অভিযোগ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এনামুল হক, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ হালিম, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এস কে খোদা তোতন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি মোচ্ছাফা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান।