রোববার বিকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন বলেন, হরতালের আগের দিন মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। হরতাল বানচালে এটা তাদের (সরকার) পুরনো কৌশল।
“আমরা বলতে চাই, সোমবার সারাদেশে সর্বাত্মক হরতাল হবে। সকাল-সন্ধ্যা হরতালে গাড়ি-ঘোড়া চলবে না। অফিস-আদালত চলবে না। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও দেশের সম্পদ রক্ষার দাবিতে এই হরতাল ডাকা হয়েছে।”
সোমবার চট্টগ্রামের লালদিঘীর ময়দান গাউসুল আজম কনফারেন্স অনুষ্ঠানের কারণে লালদিঘীর ময়দান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান রিজভী।
গাজীপুরে সমাবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলের নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিজভী সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানী মালিবাগ, বংশাল, খিলগাঁও, আদাবর, গেন্ডারিয়া, মাদারীপুর, নোয়াখালী, খুলনা মহানগর, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ ও মুন্সীগঞ্জসহ সারাদেশে শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন।
হবিগঞ্জের মেয়র জিএম গউসকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, গউস একজন নির্বাচিত মেয়র সম্ভাবনাময় তরুণ নেতা। তাকে আন্দোলন থেকে দূরে রাখতে নাটকীয়ভাবে কিবরিয়া হত্যা মামলায় জড়িত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
“আমরা এহেন গ্রেপ্তারের নিন্দা জানাচ্ছি।”
অন্যান্যের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান ও আসাদুল করীম শাহিন ও বেলাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।