‘সাংবাদিকরা মুখ ফেরালে বিএনপিকে পাওয়া যাবে না’

বিএনপির সংবাদ প্রচার বন্ধ হলে দলটিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2014, 05:54 PM
Updated : 27 Dec 2014, 05:54 PM

শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “প্রতিবন্ধীরা কাঁথা বালিশ নিয়ে পার্টি অফিসে শুয়ে থাকেন। আর ব্রিফিং করেন। আপনারা তাদের বক্তব্য নেওয়া বন্ধ করলে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’’

সাংবাদিকদের বিএনপির সংবাদ না দেয়ার অনুরোধ করে কামরুল বলেন, “আপনারা মুখ ফেরালে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনারাই তাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আপনারা তার বক্তব্য নেওয়া বন্ধ করুন। বিএনপিকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

তিনি বলেন, “ভেবেছিলাম, গাজীপুরে বিএনপি তুলকালাম করে ফেলবে। কিন্তু বিএনপির ডাকে হরতাল পালন করতে গাজীপুরে একটা কুকুরও নামে নাই।”

বিএনপিকে ‘কাগুজে সংগঠন’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশটাকে ২০১৩ সালে নির্বাচনের আগের  ‘জঙ্গিরাষ্ট্র’ তৈরির জন্য বিএনপি এখনও লাদেনের মত রেডিও- ভিডিওবার্তা দিয়ে যাচ্ছে । কাগুজে সংগঠন, কাগুজে বার্তা দেওয়া বন্ধ করুন।”

কামরুল বলেন, “ছাত্রলীগ বিএনপির ওপর হামলা করেনি। গণ্ডগোল সৃষ্টি করতে খালেদা সেদিন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়েছে লাঠিসোটা, দল-বল নিয়ে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে পরে দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিতে যাবে না, নিরাপত্তার অজুহাতে।”

তিনি বলেন, “বিএনপির সিনিয়র নেতারাও দেশের উন্নয়ন চান। অনেকেই সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে আসতে চান। কিন্তু খালেদা-তারেকের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। খালেদা-তারেক তাদের জন্য অভিশাপ।”

বিএনপিকে ‘গণধোলাই’ দেওয়া হুমকি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি দেশের জনগণকে নিয়ে আন্দোলনের জন্য মাঠে নামার কথা বলেছে। এই বিএনপিকে আর মাঠে নামতে দেওয়া হবে না। মাঠ আমাদের দখলে। মাঠে নামলেই জনগণকে নিয়েই গণধোলাই দেওয়া হবে।”

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।