শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কামরুল বলেন, “গয়েশ্বর ভাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। কাল থেকে দেখবেন, নেতাদের রাস্তায় বের হওয়ার সংখ্যা অনেক কম। সবাই ডিপ ফ্রিজে চলে যাবে, কালকে থেকেই দেখবেন।”
রাজনীতি করার মনোবল বিএনপির নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “রাজনীতি করতে হলে পুলিশি নির্যাতন, কারাগারে যেতে হবে, মামলা খেতে হবে। সবকিছু সহ্য করেই রাজনীতি করতে হবে। এরা কারাগারকে ভয় পায়।”
“রাজনীতি করার মতো, আন্দোলন করার মতো যে স্ট্যামিনা, সেই স্ট্যামিনা তাদের নেই।”
সাংসদ ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার ভোরে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভবিষ্যতে খালেদা জিয়ার আদালতে না যাওয়ার ক্ষেত্র তৈরির জন্য বিএনপি বুধবারের ‘ঘটনা’ ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “গত পরশুদিন যে ঘটনা তিনি ঘটিয়েছেন, তা নিরাপত্তার কথা বলে আদালতে না যাওয়ার ক্ষেত্র তৈরির জন্য ঘটিয়েছেন।”
বিএনপি চেয়ারপার্সনকে উদ্দেশ করে মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দীর্ঘদিন তিনি আদালতে যান না, হাজিরা দেন না। দুর্নীতির মামলার বিচারকে বাধাগ্রস্ত করাও বড় দুর্নীতি।”
তবে যে কোনো নৈরাজ্য দমনে আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির বর্জন এবং ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। বিএনপি দিনটি ‘গণতন্ত্রের কালো দিবস' হিসাবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
ইতোমধ্যে দলটি নতুন বছরের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। প্রতিহত করার পাল্টা ঘোষণাও এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।
কামরুল বলেন, মাঠ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে। এদেরকে সন্ত্রাস করতে দেওয়া হবে না। এদেরকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না। পরিষ্কার কথা।
“জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা যা করার দরকার, তাই করবে। আমরাও আমাদের স্ব স্ব এলাকার মানুষের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশে থেকে সহযোগিতা করবো।”
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের এই আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।