শুক্রবার বিকালে এক বিবৃতি দিয়ে ভোরে গ্রেপ্তার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের গ্রেপ্তারে নিন্দা জানিয়ে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেছেন, এই অবৈধ সরকার কোনোভাবেই জনগণকে কাছে টানতে না পেরে বীভৎস প্রতিহিংসায় মেতে উঠেছে। গোটা দেশকে তারা একদলীয় অপশাসনের শৃঙ্খলে বন্দীশালায় পরিণত করেছে। এখন তারা শেষ মরণকামড় দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়নের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে । এই প্রতিহিংসার সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের গ্রেপ্তার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ ও এক সাংসদের ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার ভোরে সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে এই বিএনপি নেতাকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গয়েশ্বরকে আদালতে হাজির করে এর মধ্যে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “মানুষের ভোটাধিকার ও স্বাধীনতা হরণ করে, জাতীয় সংসদ দখল করে, সরকার মনে করেছে চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতার রাজদণ্ড ধরে রাখবে। এজন্য তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নিজেদের অঙ্গ সংগঠনগুলোকে দুর্বৃত্ত বাহিনীতে পরিণত করে বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করে যাচ্ছে।
“সাজানো প্রশাসন ও দুস্কৃতকারী যুবলীগ-ছাত্রলীগের পাণ্ডাদের দিয়েই সরকার গুম, অপহরণ, গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এভাবে গায়ের জোরে নিজেদের মসনদ ধরে রাখতে তারা মূলত দেশের জনগণকেই পরাধীন করে রেখেছে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “এগুলো সরকারের দুর্বৃত্তায়িত চরিত্রেরই পুনরাবৃত্তি। বকশীবাজার এলাকায় দলের নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের আক্রমণে ঘটনার জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই সরকার উল্টো দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলালসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্র দল, স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমি এসব মামলা প্রত্যাহারে জোর দাবি জানাচ্ছি।’’
গত ২৪ ডিসেম্বর বকশীবাজারের ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি বলেন, “এভাবে হামলা চালিয়ে সরকার জনগণকেই প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। সব দেখে শুনে মনে হয়, এই সন্ত্রাসী দুঃশাসনের প্রধান মুখপাত্র হচ্ছেন স্বয়ং বর্তমান অবৈধ সরকারের প্রধান। তার কাছে অহম ও ক্ষমতালিপ্সা বাংলাদেশের চেয়েও প্রিয়।”